সরকারি খরচে গত বছর ২৫৪ জনকে হজে পাঠানো হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত সরকারি খরচে হজ করেছেন ১ হাজার ৯১৮ জন।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে এই তথ্য জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানান, ২০১৪ সাল থেকে সরকার নির্দিষ্টসংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে সরকারি খরচে হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে পাঠানোর কার্যক্রম চালু করে। এর মধ্যে ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার কারণে কাউকে হজে পাঠানো হয়নি। এই দুই বছর ছাড়া গত সাত বছরে ১ হাজার ৯১৮ জনকে সরকারি খরচে হজে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৪ সালে ১২৫ জন, ২০১৫ সালে ২৬৮ জন, ২০১৬ সালে ২৮৩, ২০১৭ সালে ৩৩৪, ২০১৮ সালে ৩৪০ জন, ২০১৯ সালে ৩১৪ এবং ২০২২ সালে ২৫৪ জনকে সরকারি খরচে হজে পাঠানো হয়।
সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় একজন ইমাম ও একজন মুয়াজ্জিনকে সম্মানীর ভিত্তিতে নিয়োগ করা হচ্ছে। মোট ১ হাজার ১২৮ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিনের সরকারিভাবে সম্মানী প্রদান করার প্রক্রিয়া চলমান। এ ছাড়া ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদ এবং জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে তিনজন খতিব, ছয়জন পেশ ইমামের বেতনভাতা রাজস্ব খাতভুক্ত সরকারিভাবে দেওয়া হয়।
সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে ফরিদুল হক খান বলেন, জাকাত ফান্ডের বর্তমান স্থিতি ৪ কোটি ৯৭ লাখ ২১ হাজার ৩২৭ টাকা।
সংসদ সদস্য মনজুর হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১১ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীর মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখ প্রায়।