চট্টগ্রামে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কালো পতাকা মিছিল

চট্টগ্রামের চেরাগী মোড় থেকে কালো পতাকা মিছিল বের করা হয়
ছবি: প্রথম আলো

সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ‘মিথ্যাচারের’ অভিযোগ তুলে চট্টগ্রামে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কালো পতাকা মিছিল হয়েছে। বিক্ষুব্ধ সনাতনী সমাজ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের চেরাগী পাহাড় মোড়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়। চট্টগ্রামে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদ্‌যাপন পরিষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে এ পতাকা মিছিল হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে চেরাগী পাহাড়ের অদূরে জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উদ্‌যাপন পরিষদের পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

সনাতনী সমাজের প্রতিবাদী সমাবেশে জাতিগত সংখ্যালঘুবিরোধী কাউকে ভবিষ্যতে কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোর আহ্বান জানান হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর মিথ্যা বক্তব্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করুক। না হয় জাতিগত সংখ্যালঘুরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘সংখ্যালঘু জনগণের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বারবার বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক নির্যাতন হয়নি। এ দেশের সংবাদমাধ্যম ও সংখ্যালঘুরা নির্যাতন নিয়ে মিথ্যাচার করে বলেও বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ অপপ্রচার ও মিথ্যাকে ধিক্কার জানাই।’

চট্টগ্রামের মানুষ কোনোভাবেই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চট্টগ্রাম সফর মেনে নিতে পারছে না বলে জানান রানা দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, মন্ত্রীর আগমনের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ, তা সংখ্যালঘু জনগণের অধিকার আদায়ের প্রতিবাদ। আজ এ অবস্থান থেকে কালো পতাকা মিছিল সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। এ প্রতিবাদের মাধ্যমে সারা দেশের মানুষের কাছে একটি মেসেজ যাবে—সেটি হচ্ছে ভবিষ্যতে জাতিগত সংখ্যালঘুবিরোধী কাউকে কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাবেন না। যদি আমন্ত্রণ জানান, তবে সাধারণ মানুষ এভাবে রাস্তায় নামবে। সাধারণ মানুষ এভাবে রাজপথে ধিক্কার জানাবে এবং মিছিল হবে।

প্রতিবাদ সমাবেশে কেউ কেউ মুখ কালো কাপড়ে বেঁধে হাতে কালো পতাকা নিয়ে প্রদর্শন করেন। পরে একটি মিছিল বের করা হয়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি চেরাগী পাহাড় থেকে আন্দরকিল্লা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল পালিত, সাধারণ সম্পাদক অশোক দেব, চট্টগ্রাম মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিতাই প্রসাদ ঘোষ, রুবেল পাল, হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রামের আহ্বায়ক যীশু রক্ষিত, কাঞ্চন আচার্য্য প্রমুখ।