গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে মো. জাহাঙ্গীর আলম রিট করেছিলেন। এবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে পুনরায় প্রার্থী হতে ওই পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন। এ অবস্থায় সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা নিয়ে এর আগে তাঁর করা রিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে শুনানিতে প্রশ্ন তুলেছে রাষ্ট্রপক্ষ। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ মঙ্গলবার এ শুনানি হয়।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, জাহাঙ্গীর আলম পুনরায় মেয়র পদে মনোনয়ন নিতে গত ২৬ এপ্রিল ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি পদে নেই। রুল যথাযথ হলেও তিনি পদে ফিরতে পারবেন না। এ অবস্থায় রিটটি অকার্যকর। অন্যদিকে জাহাঙ্গীরের আইনজীবী বলেছেন, পদত্যাগ ইস্যু নয়। সাময়িক বরখাস্ত করা আইন সম্মত হয়েছে কি না, এটিই এখানে ইস্যু। রিট অকার্যকর হবে না।
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এ সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে গত বছরের ১৪ আগস্ট তিনি ওই রিট করেন। শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
রুলের ওপর শুনানি নিয়ে আদালত রায়ের জন্য গত ৩০ মার্চ দিন রাখেন। ধার্য তারিখে রাষ্ট্রপক্ষ হলফনামা দাখিল করার জন্য সময়ের আরজি জানালে আদালত রায়ের জন্য ৪ এপ্রিল দিন রাখেন। সেদিন হলফনামা আকারে জবাব দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে রায়ের জন্য ২ মে দিন রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি কার্যতালিকায় ওঠে।
আজ শুনানিতে রিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর আদালত অধিক শুনানির জন্য ১৪ মে দিন রাখেন। সেই সঙ্গে পদত্যাগপত্রটি হলফনামা আকারে রাষ্ট্রপক্ষকে দাখিল করতেও বলা হয়েছে।
আদালতে জাহাঙ্গীরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এম কে রহমান ও মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল।