গণশুনানি করে বিদ্যুৎ–জ্বালানির দাম নির্ধারণের দাবি

বিইআরসি লোগো
বিইআরসি লোগো

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সংস্কার করে পুনর্গঠন করতে চার দফা দাবি জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁরা বলেছেন, সরকারের নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা বাতিল করতে হবে। তাঁরা গণশুনানির মাধ্যমে অংশীজনদের মতামত নিয়ে দাম নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ডাকযোগে চার দফা দাবি–সংবলিত একটি স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে। বিইআরসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পদত্যাগের জন্য আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পদত্যাগ না করলে আগামী রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করবেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বিইআরসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্য দাবি তিনটি হলো বিইআরসির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ বাতিল করে যোগ্য ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়োগ করে কমিশন পুনর্গঠন করা, কমিশনের জনবলকাঠামো যুগোপযোগী ও সংস্কার করা এবং নিজস্ব কর্মকর্তাদের পদোন্নতিবঞ্চিত করে অন্য সরকারি সংস্থা থেকে প্রেষণ বা সংযুক্তি বন্ধ করা।

এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেছেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুটি ভাতার দাবি করেছিলেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না থাকায় তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। তবে তাঁদের নানাভাবে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হয় কমিশন থেকে।

এ বিষয়ে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, সংস্থায় কর্মরতদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে নিয়মিত সময়ে। তাঁরা জ্বালানি ভাতা ও বিশেষ ভাতার দাবি করেছেন, যার অনুমোদন নেই।