আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

মিথ্যা খবর দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি বন্ধে আইন হবে: সংসদে আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, মিথ্যা তথ্য ও মিথ্যা খবর দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা বন্ধে কিছু আইন সংসদে আনা হবে। তবে সরকার কোনোভাবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করবে না।

আজ রোববার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুহুল আমিন হাওলাদারের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।

অবশ্য কবে নাগাদ এবং কয়টি নতুন আইন সংসদে তোলা হবে, তা আইনমন্ত্রী স্পষ্ট করেননি। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের অনুপস্থিতিতে তাঁর পক্ষে সংসদে প্রশ্নের জবাব দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রুহুল আমিন হাওলাদার তাঁর প্রশ্নে বলেন, অনেক অনলাইন সংবাদমাধ্যম মিথ্যা সংবাদ করে, অপপ্রচার করে, অস্থিরতা সৃষ্টি করে। এগুলো বন্ধে আইন করা হবে কি না, তিনি জানতে চান।

জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সংবিধানে মৌলিক অধিকারের মধ্যে বাক্স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলা আছে। সেই নিরিখে এবং সেটাকে যথাযথ মর্যাদা দিয়ে আইন প্রণয়ন করতে হয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইন অলরেডি একটা আছে, যেটা হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট। আমি মাননীয় সংসদ সদস্যকে জানাতে চাই, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং আরও কিছু আইন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই সংসদে আসবে। তার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ নয়, মিথ্যা তথ্য এবং মিথ্যা খবর দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা যাতে বন্ধ করা যায়, সে ব্যবস্থা সরকার নেবে। কিন্তু এর পাশাপাশি আমি বলে রাখতে চাই, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কোনোভাবে সরকার খর্ব করবে না।’

বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, চলতি বছর জানুয়ারি পর্যন্ত ২০৮টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ১৬৮টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে ২১৩টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ১৯৬টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন পোর্টাল এবং ১৭টি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনলাইন পোর্টালের নিবন্ধন অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের বিষয়টি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে আরও অনলাইন পোর্টালের নিবন্ধন দেওয়া হবে।