চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে কেন্দ্র থেকে ইভিএম প্যানেল নিয়ে বাইরে যাওয়ার ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে তাঁকে জ্যেষ্ঠপুরা রমনীমোহন উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে থেকে আটক করা হয়।
তবে এ ঘটনায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কেন্দ্রটির ভোট গ্রহণ স্থগিতের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি নির্বাচন কমিশন।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, রতন চৌধুরী শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তবে ইভিএম প্যানেল বাইরে নিয়ে যান একই ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নির্মলেন্দু দে ওরফে সুমন। আজ ভোট চলাকালে ওই কেন্দ্রের ৫ নম্বর কক্ষ থেকে ইভিএম প্যানেল নিয়ে বাইরে চলে যান তিনি। পরে রতন চৌধুরী প্যানেলটি নিয়ে কেন্দ্রে ফেরত দিয়ে আসেন। দুজনের গলায় ছিল আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম ওরফে রাজা মিয়ার ছবি ও নৌকা প্রতীক–সংবলিত ব্যাজ।
এ বিষয়ে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত থানায় গেলে বলতে পারব।’
দুপুরের এই ঘটনার পর উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা এস এম মিজানুর রহমান রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর কেন্দ্র স্থগিতের আবেদন করেন। মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে নৌকার এজেন্টরা গোপন কক্ষে ঢুকে ইভিএমের বাটন টিপে প্রভাব বিস্তার করেছেন। এ বিষয়ে অভিযোগ দিলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনার পর কেন্দ্রের বাইরে থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনো কেন্দ্র স্থগিতের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
নির্বাচনের অপর প্রার্থী হলেন কাজী আয়েশা ফারজানা। তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়াসহ নানা অনিয়মে ভরা ছিল নির্বাচন। গোপন কক্ষে ছিল নৌকার এজেন্টদের উপস্থিতি।