মামলার তদন্ত শুরু করে বিচারের বিভিন্ন ধাপে দেরির কারণে ভুক্তভোগীরা বছরের পর বছর ঘুরেও বিচার পাচ্ছেন না।
২০১৫ সালের মে মাসের ঘটনা। রাজধানীতে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরতে রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন এক তরুণী। হঠাৎ একটি মাইক্রোবাস থেকে দুজন নেমে তাঁকে জোর করে তুলে নেয়। চলন্ত গাড়িতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন তিনি। পরে তাঁকে রাস্তায় ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। ওই তরুণী পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। কিন্তু পুলিশ অভিযোগপত্র দেয় দুজনের বিরুদ্ধে। সাত বছর ধরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এ মামলার বিচার চলছে।
মামলার বিষয়ে কথা বলতে ওই তরুণীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সাংবাদিক পরিচয় জেনে তিনি আর কথা বলতে রাজি হননি।
ওই তরুণীর মামলায় আইনি সহায়তা দিচ্ছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সংস্থাটির আইনজীবী মল্লিকা সরকার প্রথম আলোকে বলেন, মামলার দুই আসামি এখন জামিনে। আদালত আগামী বছরের ৯ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
সাড়ে সাত বছরে মামলায় আদালতে মাত্র তিনজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তাঁর ছোট মেয়ের কাছে বৃষ্টির সন্তান বড় হচ্ছেদীপা রানী
স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করে পাঁচ বছর ধরে থানা-পুলিশ-আদালতে ছোটাছুটি করছেন এক গৃহবধূ (২২)। তাঁদের এক সন্তান রয়েছে। ২০১৭ সালে করা মামলাটির বিচার চলছে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬-এ। আগামী ২৩ অক্টোবর সাক্ষ্য নেওয়ার দিন ধার্য রয়েছে।
সারা দেশে এমন হাজার হাজার নারী বিচারের আশায় বছরের পর বছর থানা-পুলিশ-আদালতে ঘুরছেন।
আগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল কম ছিল। এ কারণে মামলাজট হয়েছে। এখন নতুন নতুন আদালত গঠিত হয়েছে। ভবিষ্যতে মামলার বিচারকাজে গতিআইনমন্ত্রী আনিসুল হক
উচ্চ আদালতের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ গত ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের ৯৯টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বিচারাধীন ৪৩ হাজার ১১৪টি মামলা রয়েছে। এসব আদালতে মোট বিচারাধীন মামলা ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৩১টি। অর্থাৎ বিচারাধীন ২৪ শতাংশের বেশি মামলার বিচার পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে।
১২ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত জানান, উচ্চ আদালত ও অধস্তন আদালতে জুন পর্যন্ত বিচারাধীন মামলা প্রায় ৪২ লাখ। পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার করায় বছরের প্রথম ভাগের তুলনায় জুনে ৩২ শতাংশ মামলা কমেছে। তবে তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলার ক্ষেত্রে অগ্রগতি তেমন নেই। এ আইনে বিচারাধীন প্রায় ৭ শতাংশ ও ৫ বছরের বেশি বিচারাধীন মামলা কমেছে ২ শতাংশের কম।
ধর্ষণ, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও হত্যা, অপহরণ, যৌন নিপীড়ন, আত্মহত্যায় প্ররোচনা, দাহ্য পদার্থ দিয়ে ক্ষতি করা, ভিক্ষাবৃত্তির উদ্দেশ্যে শিশুর অঙ্গহানিসংক্রান্ত মামলার বিচার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হয়ে থাকে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এসব মামলার বিচার হয়।
জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল কম ছিল। এ কারণে মামলাজট হয়েছে। এখন নতুন নতুন আদালত গঠিত হয়েছে। ভবিষ্যতে মামলার বিচারকাজে গতি আসবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সারা দেশে ৬০০–র বেশি থানায় ৭ হাজার ৩৫০টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৫২৩টি বা ৪৮ শতাংশ ধর্ষণের মামলা। এর আগের চার বছরে ধর্ষণের মামলা ছিল ৩৯ থেকে ৫০ শতাংশ।
উচ্চ আদালতের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকার ৯টি ট্রাইব্যুনালে সবচেয়ে বেশি বিচারাধীন মামলা রয়েছে। জুন পর্যন্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ২৫। এর মধ্যে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বিচারাধীন মামলা ৩ হাজার ৬৬৯টি, যা বিচারাধীন মোট মামলার ২০ শতাংশ।
বান্দরবান ও রাঙামাটিতে মামলা কম হলেও পাঁচ বছরের বেশি সময় ঝুলে থাকা মামলার হার বেশি। বান্দরবানে বিচারাধীন ৬৭০ মামলার মধ্যে ৪৪৩টি বা ৬৬ শতাংশ পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে। একইভাবে রাঙামাটিতে ৫৪৪টির মধ্যে ৩১৭টি বা ৫৮ শতাংশ মামলা পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বিচারাধীন। শরীয়তপুর ও মাগুরায় পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে এমন মামলা নেই। ওই দুটি আদালতে মামলার সংখ্যা যথাক্রমে ২৪৩ ও ১ হাজার ৬৪৫। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬৬৬টি মামলার মধ্যে ৪টি এবং শেরপুরে ১ হাজার ৩৫০টি মামলার মধ্যে ৮টি মামলা পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র এবং আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নতুন আদালত গঠন ও মামলা পর্যবেক্ষণে কমিটি করায় মামলার কাজে গতি এসেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার গতি আনতে সুপ্রিম কোর্টের আট বিচারপতিকে প্রধান করে আটটি পর্যবেক্ষণ কমিটি করা হয়েছে। কমিটির কাছে ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের মামলার অবস্থা সম্পর্কে জানাতে হয়।
উচ্চ আদালতে কোন অভিযোগে মামলা কত, তার হিসাব নেই। তবে পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সারা দেশে ৬০০–র বেশি থানায় ৭ হাজার ৩৫০টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৫২৩টি বা ৪৮ শতাংশ ধর্ষণের মামলা। এর আগের চার বছরে ধর্ষণের মামলা ছিল ৩৯ থেকে ৫০ শতাংশ।
২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করে সরকার আইন প্রণয়ন করলেও ধর্ষণের ঘটনা কমেনি।
আইন বাস্তবায়নে ঘাটতির কারণে এমনটি হচ্ছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মধ্যে সময় দেওয়া প্রয়োজন। একটা সময় পর প্রভাব দেখা যাবে।
মামলার বিভিন্ন ধাপে যুক্ত ব্যক্তি ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মামলা করার পর তদন্ত ও বিচারের প্রতিটি ধাপে ভিন্ন ভিন্ন কারণে দেরি হয়। ভুক্তভোগী মামলা করার পর মেডিকেল সনদ, ডিএনএ প্রতিবেদন (ধর্ষণের মামলায় আবশ্যক) পেতে দেরি হয়। এতে মামলার অভিযোগপত্র গঠনে দেরি হয়। বিচার শুরুর পর লম্বা বিরতি দিয়ে শুনানির তারিখ ধার্য হয়। সাক্ষীকে হাজির করাও কঠিন হয়। চিকিৎসক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) সাক্ষ্য পেতে সবচেয়ে দেরি হয়। বিশেষ করে তাঁরা বদলি হয়ে গেলে তাঁদের সাক্ষ্য পেতে বছরের পর বছর লেগে যায়।
মামলায় দেরির কারণ জানতে প্রতিটি ধাপের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো।
উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) হামিদা পারভীন প্রথম আলোকে বলেন, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মামলায় নির্ধারিত সময়ে তদন্ত শেষ করতে হয়। নইলে আদালতের কাছে জবাবদিহির বিষয় আছে। মেডিকেল ও ডিএনএ প্রতিবেদন না পাওয়ায় তদন্তে অনেক সময় দেরি হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুসারে, এ–সংক্রান্ত মামলার বিচার ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ হতে হবে। আইনে মেডিকেল পরীক্ষা ‘অতি দ্রুত’ ও ‘যুক্তিসংগত’ সময়ের মধ্যে মেডিকেল পরীক্ষা শেষ না করলে দায়ী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা আছে। ডিএনএ প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের উল্লেখ নেই।
মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার ভাষ্য, মেডিকেল ও ডিএনএ প্রতিবেদনের জন্য ঘুরতে ঘুরতে পুলিশের জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যায়।
নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা, আইনি সহায়তা ও ডিএনএ পরীক্ষার সুবিধা দেয় ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থিত ওসিসির সমন্বয়কারী চিকিৎসক বিলকিস বেগম প্রথম আলোকে বলেন, রোগীর চাপে বয়স নির্ধারণসহ কিছু পরীক্ষা করে মেডিকেল সনদ তৈরিতে দেরি হয়। তবে বদলি না হলে সাক্ষ্য দিতে চিকিৎসকেরা দেরি করেন না।
অভিযোগ রয়েছে, আদালতে দীর্ঘ বিরতিতে মামলার শুনানির তারিখ ধার্য হয়। স্থানসংকটেও মামলা কম পরিচালিত হয়। যেমন ঢাকার ট্রাইব্যুনাল ৫ ও ৯ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সময় ভাগাভাগি করে একই কক্ষে বসে।
ঢাকার ট্রাইব্যুনাল-৯-এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সহীদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মামলার চাপে দেরি করে তারিখ ধার্য হয়। অনেক সময় সাক্ষী আসে না। সাক্ষী হাজির করার দায়িত্ব প্রসিকিউশনের।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের (প্রসিকিউশন) উপকমিশনার মো. জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, অনেক সময় সাক্ষীর ঠিকানা পরিবর্তন হলে তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় না। অনেকে সাক্ষ্য দিতে আগ্রহী থাকেন না। আদালত সমন জারি করলে অনেক সময় সাক্ষীকে ধরে আনতে হয়।
এই প্রতিবেদন তৈরি করতে ঢাকার ১১টি মামলা পর্যবেক্ষণ করেছে প্রথম আলো। এগুলোর মধ্যে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের পাঁচটি, একটি দলবদ্ধসহ তিনটি ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা একটি, যৌন নিপীড়নের একটি এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার একটি মামলা রয়েছে। এসব মামলা ৪ থেকে ৯ বছর ধরে বিচারাধীন।
এই ১১টি মামলার ৪টি আসক এবং ৭টিতে সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।
২০১৩ সালে চাচার বিরুদ্ধে শিশুসন্তানকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন এক নারী। স্বামীর অমতে মামলা চালিয়ে সংসারও হারিয়েছেন। এখন মামলাটি ঢাকার ট্রাইব্যুনালে-২-এ সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে আছে। ওই নারী বলেন, ‘বিচার চাওয়ার আর আগ্রহ পাই না। বিচার তো পাচ্ছিই না। উল্টো আমি আর আমার সন্তান সাফারার (ভুক্তভোগী), আমরা লুজার (পরাজিত)। ওরাই উইনার (আসামিরাই জয়ী)। স্বামী বাচ্চার ভরণপোষণও দেন না।’
একইভাবে শিশুসন্তানকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে মামলা করেন এক নারী। মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-৮-এ সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে আছে। ওই নারী বলেন, ‘প্রথম তিন বছর অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছি। দুবার সাক্ষী নিয়ে গিয়ে শুনি আদালত বসবেন না। এখন উকিল বলছেন, মামলার তারিখ পড়লে খবর দেবেন। আমার চোখের সামনে আসামি ঘোরাফেরা করে। এত কষ্ট লাগে!’
সাভারের একটি মামলার বাদী দীপা রানীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কেঁদে ফেলেন। তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালে তাঁর বড় মেয়ে বৃষ্টি চৌধুরীকে স্বামী মঙ্গল চন্দ্র দাস হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখেন। অথচ পুলিশ আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেছে। দীপা রানী বলেন, ‘সাড়ে সাত বছরে মামলায় আদালতে মাত্র তিনজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তাঁর ছোট মেয়ের কাছে বৃষ্টির সন্তান বড় হচ্ছে।’
ব্লাস্টের ঢাকা ইউনিটের সমন্বয়কারী মো. মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে সবচেয়ে দেরি হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ নিয়মিত হলে মামলা দ্রুত শেষ করা সম্ভব।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল প্রথম আলোকে বলেন, বিচার দীর্ঘায়িত হলে বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে যায়। ভুক্তভোগী সময় ও অর্থের দিক থেকে ক্লান্ত হয়ে যেতে থাকেন। তাঁর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার দৃষ্টান্ত একেবারে বিরল নয়। অন্যদিকে অপরাধী ভুল বার্তা পায়। তার অপরাধপ্রবণতা কমার বদলে বরং বাড়ে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মিথ্যা অভিযোগে অনেক মামলা হয়, এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সুলতানা কামাল বলেন, মিথ্যা অভিযোগে মামলা একদম হয় না, তা নয়। সেখানেও অনেক ক্ষেত্রে নারীরা ব্যবহৃত হয়ে থাকেন। তবে যত মামলা মিথ্যা ‘প্রমাণিত’ হয়, তার সবই মিথ্যা নয়। অভিযোগ গ্রহণে বিলম্ব, ভুল ধারায় মামলা, সাক্ষ্য প্রমাণের অভাব, আলামত নষ্ট হওয়া বা করা, সাক্ষীকে উপস্থিত করতে অপারগতা ইত্যাদি কারণেও অনেক সময় অভিযোগ প্রমাণ করা যায় না।