‘গহন ঘন ছাইল গগন ঘনাইয়া’, ‘আমার নিশীথরাতের বাদলধারা’—এমন সব গানের সুরে মুগ্ধ হলেন দর্শক–শ্রোতারা। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের বর্ষা অনুষ্ঠানে ছিল এ পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানটি নিবেদন করা হয় কবি সুফিয়া কামালের স্মৃতির প্রতি। ২০ জুন ছিল তাঁর জন্মদিন। একক পরিবেশনা, সম্মেলক গান, সম্মেলক নৃত্যগীত ও আবৃত্তি দিয়ে সাজানো হয় বর্ষার অনুষ্ঠান।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, অতুল প্রসাদ সেন, উকিল মুন্সী ও মোমতাজ আলী খানের বর্ষার গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা। গাওয়া হয় ‘আজ বাদল ঝরে’, ‘মেঘের ডমরু ঘন বাজে’ ও ‘ওরে ভরা গাঙে নদীর স্রোত’–এর মতো গান।
এক গানের সুরের রেশ শেষ না হতেই শোনা যায় বর্ষা নিয়ে অন্য আরেক গানের সুর। ইফ্ফাত আরা দেওয়ান, খায়রুল আনাম, মহুয়া মঞ্জরীসহ ১২ জন শিল্পী পরিবেশন করেন একক সংগীত। আবৃত্তি করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়।
মোট ২২টি পরিবেশনা নিয়ে আয়োজিত হয় বর্ষার অনুষ্ঠান। সম্মেলক গানে ‘আষাঢ় মাসের বৃষ্টিরে, ঝমঝমাইয়া পড়েরে’ পরিবেশন হয় শেষদিকে। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ছায়ানটের বর্ষার আয়োজন।