পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে। গভীর নিম্নচাপটি এখন একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি আজ সোমবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এ রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ গতকাল রোববার এ কথা জানিয়েছেন।
আজ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ কক্সবাজারকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেতের পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, সাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ঢাকায় আজ দুপুর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। আড়াইটার পর মুষলধারে বৃষ্টি নামে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরসহ গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গভীর নিম্নচাপটি আজ দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এ ছাড়া কক্সবাজার থেকে ৭১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণে গভীর নিম্নচাপটি অবস্থান করছিল।
গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত আছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাসহ সমুদ্রবন্দরের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নিম্নচাপকেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপকেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।