কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপ ও আশপাশের এলাকায় (ঘটিভাংগা, তাজিয়াকাটা ও হামিদার দিয়া) বিস্তৃত ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওখানে থাকা অবৈধ চিংড়িঘের উচ্ছেদ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার রুলসহ এ আদেশ দেন। পরিবেশসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও প্রধান বনসংরক্ষকসহ বিবাদীদের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে ৯০ দিনের মধ্যে বিবাদীদের আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
‘সংকটাপন্ন সোনাদিয়ায় গাছ কেটে আওয়ামী লীগ নেতাদের মাছ চাষ’ ও ‘প্যারাবন কেটে আরও চিংড়িঘের তৈরি’ শিরোনামে প্রথম আলোতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ দুটিসহ গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রহিম উল্লাহ, মহেশখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, স্থানীয় তিনজন সাংবাদিক ও ছয়জন শিক্ষার্থীসহ মহেশখালীর ১২ বাসিন্দা আবেদনকারী হয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী ও আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।
পরে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির প্রথম আলোকে বলেন, সোনাদিয়া দ্বীপ ও আশপাশের এলাকায় ম্যানগ্রোভ বীজ বপন করতে এবং যারা ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংস করেছে, সেই দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সোনাদিয়া দ্বীপ ও আশপাশের এলাকায় বিস্তৃত ম্যানগ্রোভ বন। ১৯৯৯ সালে সরকার সোনাদিয়া দ্বীপকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। সম্প্রতি এই দ্বীপ ও আশপাশের এলাকায় (ঘটিভাংগা, তাজিয়াকাটা ও হামিদার দিয়া) ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংস করে অবৈধ চিংড়িঘের তৈরির কাজ চলছে বলে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ না দেখে রিটটি করা হয়।