রোদ থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে রিকশার যাত্রী হুট তুলে দিয়েছেন। আর রিকশাচালক গামছা দিয়ে মাথা ঢেকেছেন। মুগদা হাসপাতালের সামনের সড়ক। ঢাকা, ২৩ এপ্রিল
রোদ থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে রিকশার যাত্রী হুট তুলে দিয়েছেন। আর রিকশাচালক গামছা  দিয়ে মাথা ঢেকেছেন। মুগদা হাসপাতালের সামনের সড়ক। ঢাকা, ২৩ এপ্রিল

ঢাকার তাপমাত্রা বাড়ল

পরপর দুই দিন তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পর আজ মঙ্গলবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আবার বেড়েছে। আগামীকাল আরও বাড়তে পারে। আজ নগরীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক আজ প্রথম আলোকে বলেন, আগামীকাল বুধবার তাপমাত্রা আরও খানিকটা বাড়তে পারে। পরবর্তী তিন দিন এই অবস্থা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আজ থেকে তাপমাত্রা আবার বাড়তে পারে, সেই পূর্বাভাস গতকাল সোমবারই আবহাওয়া অধিদপ্তর দিয়েছিল। জানিয়েছিল, চলতি এপ্রিল মাসের বাকি সময়টা তাপপ্রবাহ থাকতে পারে। তবে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ আর না হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের কোথাও কোথাও আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও আগামী এক সপ্তাহে পুরো দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

সড়কে পথ চলার সময় মাথাটিকে রোদ থেকে বাঁচানোর চেষ্টা। রাজধানীর কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন অতীশ দীপঙ্কর রোড এলাকা থেকে তোলা

গত শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে, ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি ছিল এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ওই দিনই রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিও ছিল এ বছরে নগরীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তবে রোববার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নগরীর তাপমাত্রা ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়। ওই দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গতকাল ঢাকার তাপমাত্রা আরও কমে হয়েছে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আগামী তিন থেকে চার দিন দেশজুড়ে ভারী বৃষ্টি এবং এতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আপাতত কম বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, মে মাসের শুরুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। তখন তাপমাত্রা কমে আসতে পারে।

বর্তমানে দেশের ৪০টির বেশি জেলার বিভিন্ন স্থানে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে থাকে আবহাওয়া অধিদপ্তর।