গভীর নিম্নচাপের শক্তি বাড়ছে, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি

ঘূর্ণিঝড়
ফাইল ছবি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি এর শক্তি বাড়িয়েছে। দ্রুত এগোচ্ছে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার সময় এটি পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার দূরে ছিল।

গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আজ শুক্রবার ভোর থেকে রাজধানীতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। উপকূলের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া।

গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘মিধিলি’। এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তা আজ দুপুরের পরই বাংলাদেশের উপকূলের দিকে আসতে পারে বলে গতকাল প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান। তবে এটি বড় ঘূর্ণিঝড় হবে না বলেই তিনি জানান।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় আছে। এটি গতকাল মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ–পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ–পশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

গভীর নিম্নচাপটির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর কাছের দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের  মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা মাছ  ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।