পাঁচটি প্রধান কারণে ভূমির অবক্ষয় হচ্ছে। প্রতিরোধে সমন্বিত কোনো উদ্যোগ নেই।
সারা দেশে ভূমির ওপর চাপ বাড়ছে। একদিকে মাটির স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছে, অন্যদিকে কমে আসছে কৃষিজমির পরিমাণ। সরকারি হিসাব বলছে, প্রতিবছর গড়ে ২৭ হাজার হেক্টর ভূমির অবক্ষয় হচ্ছে।
ভূমি অবক্ষয়ের (ল্যান্ড ডিগ্রেডেশন) কারণ মূলত পাঁচটি—মাটির রাসায়নিক গুণের অবনতি, ভূমি ক্ষয়, পানির স্তর নেমে যাওয়া ও খরা, জলাবদ্ধতা ও মাটি জমাট বাঁধা এবং প্রাণবৈচিত্র্য হ্রাস। সরকারের মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের গবেষণা বলছে, দেশের ১ কোটি ১২ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর ভূমি অবক্ষয়ের শিকার। এটি দেশের মোট ভূমির ৭৬ দশমিক ১ শতাংশ।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট ভূমির পরিমাণ ১ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার হেক্টর। জনসংখ্যা ১৭ কোটি। ভূমির ওপর এ দেশের মানুষের নির্ভরতা অনেক বেশি। কিন্তু মাথাপিছু ভূমির পরিমাণ ০.০৯ হেক্টর। সিঙ্গাপুরের মতো নগররাষ্ট্র ছাড়া মাথাপিছু এত কম জমি আর কোনো দেশে নেই। এই সামান্য পরিমাণ জমিতেই বসবাস, এর উৎপাদিত ফসলেই জীবনধারণ। চাপ এ কারণেই।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের গবেষণা প্রকাশ করা হয়েছিল ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর। সেদিন ছিল বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস। বাংলাদেশের ভূমি অবক্ষয়ের প্রকৃতি, কারণ, বর্তমান পরিস্থিতি জানা এবং করণীয় নির্ধারণের জন্য এই গবেষণা করা হয়েছিল।
বছর ঘুরে আবার এল দিবসটি। আজ বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের প্রতিপাদ্য মাটি ও পানি: জীবনের উৎস।
সত্তরের দশকে দেশে ধানের উৎপাদন ছিল ১ কোটি ২০ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে তা ৩ কোটি ৮০ লাখ টন। এটা সম্ভব হয়েছে আধুনিক প্রজাতি (এইচআইভি ও হাইব্রিড), সেচ এবং সার-কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে।
বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের অনুষ্ঠানের (২০২২) মূল উপস্থাপনায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান এস এম বখতিয়ার বলেছিলেন, বাংলাদেশে কৃষি ফসল উৎপাদন বেড়েছে অসাধারণভাবে। সত্তরের দশকে দেশে ধানের উৎপাদন ছিল ১ কোটি ২০ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে তা ৩ কোটি ৮০ মিলিয়ন মেট্রিক টন। এটা সম্ভব হয়েছে আধুনিক প্রজাতি (এইচআইভি ও হাইব্রিড), সেচ এবং সার-কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে।
বর্তমানে দেশের অনেক অঞ্চলে ফসলের মাঠ খালি পড়ে থাকে না। মাটির বিশ্রাম নেই। একটি ফসল উঠলেই অন্য ফসলের চাষ করা হচ্ছে। মৃত্তিকা বিজ্ঞানীরা বলছেন, অতি ব্যবহারে মাটি নিঃস্ব, দুর্বল, রোগগ্রস্ত। মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের কারণে মাটি বিষাক্ত হয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগে বড় ধরনের উদ্যোগ জরুরি।
দেশের ৭৬ শতাংশ এলাকার মাটির স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছে। কৃষিকাজের কারণে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সার ও বালাইনাশক ব্যবহার করায় মাটির ক্ষয় বেশি হচ্ছে। এর বাইরে শিল্পকারখানার দূষণও বড় কারণ হয়ে উঠেছে। আর মাটি হচ্ছে এমন এক সম্পদ, যা আমরা চাইলেও সৃষ্টি করতে পারব না।বাংলাদেশ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন
জানতে চাইলে বাংলাদেশ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের ৭৬ শতাংশ এলাকার মাটির স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছে। কৃষিকাজের কারণে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সার ও বালাইনাশক ব্যবহার করায় মাটির ক্ষয় বেশি হচ্ছে। এর বাইরে শিল্পকারখানার দূষণও বড় কারণ হয়ে উঠেছে। আর মাটি হচ্ছে এমন এক সম্পদ, যা আমরা চাইলেও সৃষ্টি করতে পারব না। ফলে ওই মাটির ক্ষয় রক্ষা করতে হলে সচেতনতার মধ্য দিয়ে রাসায়নিক ও বালাইনাশকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে পারে। শিল্পদূষণ কমাতে হবে। নয়তো দীর্ঘ মেয়াদে ফসলের উৎপাদন কমে যাওয়া এবং তা বিষাক্ত হয়ে ওঠার মধ্য দিয়ে জনস্বাস্থ্য বিপন্ন হবে।’
মাটিতে জৈব পদার্থ কী পরিমাণে আছে, তার ওপরও মাটির উৎপাদনক্ষমতা নির্ভর করে। ২০২০ সালে দেখা গেছে, ১ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার হেক্টর বা দেশের প্রায় ৭৯ শতাংশ জমিতে প্রয়োজনীয় জৈব পদার্থের ঘাটতি আছে।
মাটির গুণাগুণ অনেকটা নির্ধারণ করে মাটিতে থাকা বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। মাটিতে নির্দিষ্ট পরিমাণে নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়ামের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সালফার, জিংক, বোরন, আয়রন ও ম্যাঙ্গানিজ থাকে। সব জায়গার সব জমিতে এসব রাসায়নিক সমানভাবে বা সমান অনুপাতে থাকে না।
মাটিতে জৈব পদার্থ কী পরিমাণে আছে, তার ওপরও মাটির উৎপাদনক্ষমতা নির্ভর করে। ২০২০ সালে দেখা গেছে, ১ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার হেক্টর বা দেশের প্রায় ৭৯ শতাংশ জমিতে প্রয়োজনীয় জৈব পদার্থের ঘাটতি আছে। এর মধ্যে দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে জৈব পদার্থের কমতি মাঝারি থেকে তীব্র মাত্রায়।
গবেষণা বলছে, দেশের প্রায় ৩৩ শতাংশ জমিতে অম্লতা বেশি। অন্যদিকে দেশের উপকূলের জেলাগুলোয় লবণাক্ততা বাড়ছে। দেখা যাচ্ছে, দেশের ৭ শতাংশ জমিতে লবণাক্ততা বেশি। এ ছাড়া দেশের প্রায় ৫ শতাংশ এলাকার মাটিতে সহনীয় মাত্রার চেয়ে আর্সেনিকের পরিমাণ বেশি। আর্সেনিক বহু বছর ধরে বাংলাদেশে বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে আছে।
পাহাড়ি এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টিতে ঢল নামে। এই ঢলে মাটি, বিশেষ করে বেলে মাটি পাহাড়ের আশপাশ এলাকায় এসে পড়ে। এই ঢলও মাটির মান কমিয়ে দিচ্ছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে দেশে ভূমিক্ষয়ের তিন কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে—পাহাড়ি এলাকায় ভূমি ক্ষয়, নদীভাঙন এবং বালুর ঢল।
প্রাকৃতিক কারণে পাহাড়ি এলাকায় ভূমি ক্ষয় হয়। কিন্তু পাহাড়ি এলাকার বন ধ্বংস, আদা ও আনারসের চাষ অতিমাত্রায় ভূমি ক্ষয়ের কারণ বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট কারণে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস হতে দেখা যাচ্ছে। ২০২০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিক্ষয়ের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ হেক্টর।
নদীভাঙন দেশের ভূমিক্ষয়ের অন্যতম কারণ। সারা দেশের ছোট–বড় অনেক নদীতে ভাঙন লেগেই আছে। বসতবাড়ি ও ফসলি জমি প্রতিবছর নদীতে বিলীন হয়। বেশি ভূমি ক্ষয় হয় পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, দুধকুমার ও তিস্তা নদীতে।
পাহাড়ি এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টিতে ঢল নামে। এই ঢলে মাটি, বিশেষ করে বেলে মাটি পাহাড়ের আশপাশ এলাকায় এসে পড়ে। এই ঢলও মাটির মান কমিয়ে দিচ্ছে।
দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে। এতে প্রতিদিনই মাটির ওপর চাপ বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আমাদের দৃশ্যমান জোরালো প্রস্তুতি প্রয়োজন। আর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে যেসব কাজ চলছে, তার সমন্বয় দরকার।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হারুন অর রশীদ
দেশের কিছু এলাকায় নিয়মিতভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। আবার কোনো কোনো এলাকায় পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাচ্ছে।
পানির স্তর কমে যাওয়া এলাকা সহজে খরার কবলে পড়ে। কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে খরাকে বলা হয় নীরব ঘাতক। খরাপ্রবণ এলাকায় গ্রীষ্মকালে পানীয় জলের কমতি দেখা দেয়। এসব এলাকায় গবাদিপশু পালনও কঠিন হয়ে পড়ে। ২০২০ সালে দেশের ১০ দশমিক ৪ শতাংশ এলাকায় স্বল্প, মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র খরাকবলিত ছিল। দেখা যাচ্ছে, দেশে খরাপ্রবণ এলাকা বাড়ছে। ২০০০ সালে এ রকম এলাকা ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। অর্থাৎ খরাকবলিত এলাকা বাড়ছে।
অন্যদিকে দেখা যায়, দেশের কোনো কোনো এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে পানি জমে আছে। এটা দেখা যায়, দেশের শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ এলাকায়। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের গবেষণা বলছে, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা ও নোয়াখালী জেলায় এই জলাবদ্ধতার চিত্র দেখা যায়। চার-পাঁচ মাস জমে থাকা পানির কারণে ফসল ভালো হয় না, জলাবদ্ধ এলাকার মানুষের কাজকর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, মানুষের মধ্যে রোগবালাই বেশি দেখা যায়, এলাকায় বেকারত্ব বাড়ে।
মাটির আরও কিছু কারণে উর্বরতা হারায়। নির্মাণকাজের সময় মাটিতে অবশেষ বা বর্জ্য পড়ে। বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন ছাড়াও মানুষ জমিতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে, বসবাসের জন্য পাকা ভবন বানাচ্ছে। ভবন বা বড় অবকাঠামো নির্মাণের সময় ইট, বালু, সুরকি, সিমেন্ট মাটিতে পড়ে। এর ফলে মাটির স্বাভাবিক গুণ নষ্ট হয়। ২০২০ সালে এ কারণে দেশের প্রায় ৪ শতাংশ জমির গুণাগুণ ঝুঁকিতে পড়েছিল।
পরিবেশগত সমস্যার কারণে জীববৈচিত্র্য ঝুঁকিতে পড়ে। এর ফলে বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি, জীবজন্তু বা গাছপালার টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। এটা হচ্ছে মূলত ভূমি ব্যবহারে পরিবর্তন, কোনো কোনো প্রজাতির ওপর বেশি গুরুত্বারোপ, জলবায়ুর পরিবর্তন, দূষণ এবং আগ্রাসী প্রজাতির প্রবর্তন।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের প্রায় ৪ শতাংশ এলাকায় প্রাণবৈচিত্র্যের অবক্ষয় ঘটছে। যেসব এলাকায় এই ঝুঁকি বেশি দেখা যাচ্ছে, তার মধ্যে আছে সিলেট অববাহিকা, সুরমা-কুশিয়ারা প্লাবনভূমি, সুন্দরবন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ।
মাটির কিছু পুষ্টি চলে যায় ফসলের সঙ্গে। যত ফসল ফলে তত মাটির পুষ্টিগুণ কমে। উদ্ভিদ মাটি থেকে যে পুষ্টি নেয়, সার দিয়ে তা পূরণ বা প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা চলে। মাটির উর্বরতা বা পুষ্টির ভারসাম্য ঠিক রাখা একটি বৈশ্বিক সমস্যা। বাংলাদেশও এ সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি এই সমস্যাকে আরও গভীর করে তুলছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ২০৬১ সাল পর্যন্ত বাড়তে থাকবে। তখন বাংলাদেশের অনুমিত জনসংখ্যা হবে ২০ কোটি ৭০ লাখ। অর্থাৎ প্রতিবছরে বেশ কয়েক লাখ নতুন মানুষ জনসংখ্যার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এদের জন্য খাদ্যের জোগান যেমন দরকার, একইভাবে দরকার আবাসন। এই স্থায়ী টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে যেতে হবে।
এই সমস্যাগুলো বহুমাত্রিক। কিছু সমস্যা বহুল আলোচিত, সমাধানেরও কিছু চেষ্টা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাটির পুষ্টির ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক বিষয় লক্ষ করা যাচ্ছে। এখন ফসলের অবশেষ (নাড়া, কুটা) মাঠে রেখে আসার প্রবণতা ও পরিমাণ বেড়েছে। এতে জমির জৈবগুণ বাড়ছে। দ্বিতীয়ত, সারের যৌক্তিক ব্যবহার আগের চেয়ে বেড়েছে।
মাটির রাসায়নিক গুণ বজায় রাখা, নদীভাঙন কমানো, জলাবদ্ধতা হ্রাস, পাহাড় রক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ—এসব বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভিন্ন ভিন্ন দপ্তরের কাজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হারুন অর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে। এতে প্রতিদিনই মাটির ওপর চাপ বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আমাদের দৃশ্যমান জোরালো প্রস্তুতি প্রয়োজন। আর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে যেসব কাজ চলছে, তার সমন্বয় দরকার।