ঢাকা নগরীতে বায়ুদূষণ বাড়ছেই। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান শীর্ষে। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স—একিউআই) এ সময় ঢাকার স্কোর ছিল ১৮৬।
বাতাসের এ মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গতকাল সোমবারও ঢাকার বায়ু ছিল অস্বাস্থ্যকর। অবস্থান ছিল দ্বিতীয়, স্কোর ১৭৫। অর্থাৎ ঢাকার বায়ুদূষণ পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে।
আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা। শহর দুটির স্কোর যথাক্রমে ১৭০ ও ১৬৫।
বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।
আইকিউএয়ারে দেওয়া আজকের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। আজ ঢাকার বাতাসে যতটা এই বস্তুকণা আছে, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে ২৪ গুণের বেশি।
আইকিউএয়ারের বায়ু নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দূষণ থেকে রক্ষা পেতে আজ ঢাকাবাসীর জন্য পরামর্শ, বাইরে বের হলে মাস্ক পরে বের হবেন। সেটি দূষণ থেকে আপনাকে সুরক্ষা দিতে পারে।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তি। তাদের মধ্যে আছে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, জটিল রোগে ভোগা ব্যক্তি। তাঁদের বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে, তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়।
৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়। ঢাকায় গত জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। জানুয়ারির মোট ৯ দিন রাজধানীর বাতাসের মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।