প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ট্রাকের ওপর বাসা পরিবর্তনের মালামাল নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন মানুষ। বাংলামোটর এলাকা থেকে
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ট্রাকের ওপর বাসা পরিবর্তনের মালামাল নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন মানুষ। বাংলামোটর এলাকা থেকে

রাজধানীর তাপমাত্রা আরও বাড়ল, চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ

আজ সোমবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা বেড়েছে। এর মধ্যে আজ এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, অন্তত দুই দিন তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত বেশি। এতে মানুষের অস্বস্তি বাড়ছে। কিন্তু বড় বৃষ্টির আগে এমনটা হতে পারে বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। আগামী ২ মের পর চলমান তাপপ্রবাহের অবস্থা পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে রাজধানীর তাপমাত্রাও আজ বেড়েছে। আজ এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি এ মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। রাজধানীতে এক দিনের ব্যবধানে গতকাল তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যায়।

এর আগে ২০ এপ্রিল রাজধানীর চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা গতকাল রোববার আরও তিন দিন বাড়িয়ে দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়। সতর্কবার্তায় বলা হয়, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ গতকাল থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্প বেড়ে যাওয়ার কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এ ব্যাপারে আজ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, এখন যেভাবে তাপ বাড়ছে, এমন অবস্থা থাকতে পারে আগামী অন্তত দুই দিন। তবে ২ মের পর তাপ বাড়ার হার কমতে পারে।

বাতাসে এখন জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত বেশি। এতে ঘাম বেশি হচ্ছে, মানুষের অস্বস্তিও বাড়ছে। আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকলে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ে।

চলতি মাসের প্রথম দিন থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে শুরু করে। আজও এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত আছে। এটা ৭৬ বছরের ইতিহাসে রেকর্ড। এর আগে গত বছর সর্বোচ্চ ১৬ দিন টানা তাপপ্রবাহ ছিল। আর ২০১০ সালের এপ্রিল রাজশাহীতে ২০ দিন তাপপ্রবাহ বইলেও তা টানা ছিল না।

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে থাকে আবহাওয়া অধিদপ্তর।