রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আজ বৃহস্পতিবারও কুয়াশা পড়েছে। এর মধ্যে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হয়েছে। আর চুয়াডাঙ্গাসহ দক্ষিণের কিছু এলাকায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হয়েছে বৃষ্টি। এই বৃষ্টির মধ্যে অন্তত ১০ জেলায় বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। এই শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কুয়াশার মধ্যে মাঘের শীতে এই বৃষ্টি বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে।
আজ দেশের তাপমাত্রা আরও কমেছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে, ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল বান্দরবান ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রংপুর অঞ্চলের প্রতিটি স্থানেই আজ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। পুরো বিভাগেই আজ তাই বইছে শৈত্যপ্রবাহ। রংপুরের আট জেলা ছাড়া শৈত্যপ্রবাহের এলাকার মধ্যে আছে কিশোরগঞ্জ ও নওগাঁ।
দেশের অন্যান্য স্থানের মতো রাজধানীতেও আজ কমেছে তাপমাত্রা, বেড়েছে শীতের প্রকোপ। আজ রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই শীতের মধ্যে আজ রাজধানীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। আর চুয়াডাঙ্গা, খুলনাসহ দক্ষিণের বেশ কিছু এলাকায় মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় আজ সকালে ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
দেশে সবচেয়ে বেশি শীত পড়ে জানুয়ারি মাসে। এ নিয়ম মেনেই চলতি জানুয়ারি মাসের শুরু থেকেই শীত পড়তে শুরু করে। শুরু হয় শৈত্যপ্রবাহ, সেই সঙ্গে কুয়াশা। মাঝেমধ্যে কিছু এলাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে জানুয়ারি মাসে এই কুয়াশাকে একেবারে অস্বাভাবিক বলে মনে করেন না আবহাওয়াবিদেরা। গত বছর দেশে এই মাসে কয়েকটা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। তবে এ বছর এখন পর্যন্ত কোথাও এমনটা হয়নি। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র বলছে, আগামীকাল শুক্রবার থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কুয়াশা অনেকটা কেটে যাবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান আজ প্রথম আলোকে বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হওয়ার ফলে আগামীকাল থেকে কুয়াশা কাটতে শুরু করবে। তবে বৃষ্টির পর শীতের তীব্রতা শিগগিরই কমবে না।