বায়ুদূষণ
বায়ুদূষণ

বায়ুদূষণে ঢাকা আজ সকালে বিশ্বে চতুর্থ, নগরীর যে ৩ স্থানে দূষণ বেশি

আজ সোমবার সকালে বিশ্বের ১০০ শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে ঢাকার স্থান চতুর্থ। আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে ঢাকার স্কোর ছিল ১৯৪। এ স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বলে ধরা হয়। গতকাল রোববার ঢাকার অবস্থান ছিল সপ্তম, স্কোর ছিল ১৯০।

আজ বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে আছে ঘানার আক্রা ও  ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা। এ দুই শহরের স্কোর যথাক্রমে ২৮৪ ও ২৪৫।

বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে। আজ বায়ুদূষণের যে অবস্থা, তাতে বাইরে বের হলে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

আইকিউএয়ারের দেওয়া আজকের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। আজ ঢাকার বাতাসে যতটা এই বস্তুকণা আছে, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে ২৮ গুণের বেশি।

আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার যে তিন স্থানে বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি, সেগুলোর মধ্যে আছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এলাকা, আগা খান একাডেমি ও গুলশান লেক পার্ক। এই তিন স্থানের স্কোর ছিল যথাক্রমে ২৬৫, ২৩৯ ও ২০৩।

বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাঁদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও জটিল রোগে ভোগা ব্যক্তিরা। তাঁদের বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়। ঢাকায় গত জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। জানুয়ারির মোট ৯ দিন রাজধানীর বাতাসের মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।