দেশের বিভিন্ন উদ্যান ও পার্ক জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবিতে রাজধানীতে সমাবেশের আয়োজন করে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ভয়েস
দেশের বিভিন্ন উদ্যান ও পার্ক জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবিতে রাজধানীতে সমাবেশের আয়োজন করে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ভয়েস

গ্রিন ভয়েসের ছাত্র-যুব সমাবেশ

দেশের সব মাঠ-পার্ক ও উদ্যান সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি

দেশের সব মাঠ-পার্ক ও উদ্যানে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ ও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ভয়েস। সংগঠনটি আজ এ দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্র-যুব সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০ বাস্তবায়নের দাবি করা হয়। এর পাশাপাশি পান্থকুঞ্জ পার্কের অরণ্য ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেন বক্তারা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০–কে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে মাঠ-পার্ক, উদ্যানে উন্নয়নের নামে উসমানী উদ্যান ৬ বছর ধরে বন্ধ করে রেখেছে। ধানমন্ডি মাঠে জনসাধারণ প্রবেশ করতে পারছে না। তাজউদ্দীন আহমদ পার্ক লিজ দেওয়া হয়েছে। সারা দেশের খেলার মাঠ উদ্যান ও পার্কের একই অবস্থা। ধানমন্ডি মাঠ সবুজ ভূমিটি একসময় উন্মুক্ত ছিল। কিন্তু ২০০৯ সালে ধানমন্ডি ক্লাবের নাম পরিবর্তন করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড করার পরপরই মাঠটি ঘিরে ফেলা হয়। বন্ধ হয়ে যায় সর্বসাধারণের বিচরণ ও খেলাধুলা।

বক্তারা বলেন, ধানমন্ডি মাঠসহ সারা দেশে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার তত্ত্বাবধানে থাকা খেলার মাঠগুলো আসলে সর্বসাধারণের এজমালি মালিকানাধীন সম্পত্তি। এর ওপর ব্যক্তির বা গোষ্ঠীর বা কোম্পানির মালিকানা চাপিয়ে দেওয়া লুণ্ঠনেরই আরেক নাম।

সমাবেশে কয়েকটি দাবি ওঠে। সেগুলোর মধ্যে আছে শহীদ আনোয়ারা উদ্যান জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা, কারওয়ান বাজার থেকে পলাশী পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাতিল করা এবং তাজউদ্দীন পার্কের ইজারা বাতিল করা।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গ্রিন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবির। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সহসমন্বয়ক হুমায়ুন কবির।

বক্তব্য দেন গ্রিন ভয়েসের উপদেষ্টা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, গ্রিন ভয়েসের উপদেষ্টা শুভ কিবরিয়া, জাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি আন্দোলনের সদস্যসচিব রুস্তম আলী, পরিজার সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।