কর্ণফুলী নদী দখল করে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় তৈরি হচ্ছে ব্যক্তিমালিকানাধীন ‘ড্রাই ডক’। এতে নদী সংকুচিত হচ্ছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন বলছে, নদীসংক্রান্ত আইন ও হাইকোর্টের রায় লঙ্ঘন করে এই স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। এখনই সব ধরনের নির্মাণকাজ বন্ধ করা দরকার।
ড্রাই ডক হচ্ছে বড় বড় জাহাজ বা নৌযান তৈরি, সংস্কার বা রং করার জন্য শুকনা কোনো স্থান। কর্ণফুলী ড্রাই ডক লিমিটেডের মালিক আবদুর রশিদ। ইঞ্জিনিয়ার রশিদ নামে ব্যবসায়ী মহলে তিনি পরিচিত।
কর্ণফুলী নদীর বাম তীরে আনোয়ারা উপজেলার বদলপুরা মৌজায়, সাগরের মোহনা থেকে দুই কিলোমিটার উজানে এই ড্রাই ডক তৈরি হচ্ছে। যেখানে এই নির্মাণকাজ চলছে, নদীর ঠিক অন্য পারে একইভাবে নদী দখল করে আরও স্থাপনা তৈরি হয়েছে, কিছু স্থাপনা তৈরির প্রস্তুতি চলছে। নদীটি এখানে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এই স্থানে কর্ণফুলীর প্রস্থ ৪৫০ মিটারের কিছু বেশি, দুই দশক আগেও প্রস্থ ছিল প্রায় এক হাজার মিটার।
বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই, সাধারণভাবেই বোঝা যায় যে এই ড্রাই ডক নদী ও ফোরশোরে গড়ে উঠেছে। আমরা সব ধরনের রেকর্ডপত্র, নকশা পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা করে দেখেছি এই ড্রাই ডক সম্পূর্ণ অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে, যা দেশের প্রচলিত আইন ও মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের পরিপন্থী।জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী
নদীবিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন্দরে জাহাজ চলাচলের জন্য কৌশলগত দিক থেকে কর্ণফুলী নদীর এই স্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ড্রাই ডককে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে ব্যক্তিমালিকানাধীন ছোট একটি বন্দর।
কর্ণফুলী ড্রাই ডক লিমিটেডের মালিক আবদুর রশিদের জাহাজ মেরামত ও নদী খননের ব্যবসা আছে। নিজেকে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয় দিয়ে আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ড্রাই ডক তৈরি হচ্ছে বৈধভাবে। কিছু জমি তিনি এলাকাবাসীর কাছ থেকে কিনেছেন। কিছু জমি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ইজারা নিয়েছেন। কিছু জমি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁকে ইজারা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘কর্ণফুলী নদী দখল করে ড্রাই ডক তৈরি হচ্ছে বলে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাকে জমি দিয়েছে, অনুমতিও দিয়েছে।’
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে যোগাযোগ করে, মুঠোফোনে চেষ্টা করে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। গত বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
কর্ণফুলী নদী নিয়ে গবেষণা করেছেন, পিএইচডি ডিগ্রি পেয়েছেন ইদ্রিস আলী। তিনি চট্টগ্রাম অঞ্চলের নদী ও খাল রক্ষা কমিটির সদস্য। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কর্ণফুলীর নাব্যতা কমে এসেছে সবাই জানে। নাব্যতা ফিরিয়ে আনার নামে শত শত কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে, তা-ও অনেকে জানে। ইঞ্জিনিয়ার রশিদ যা করছেন, তাঁর সঙ্গে রাষ্ট্র ও সাধারণ মানুষের কোনো স্বার্থ নেই। আছে তাঁর ব্যক্তিগত স্বার্থ। তাঁকে সহায়তা করছে সেই শক্তি, যারা কর্ণফুলী নদী ও বন্দরের ক্ষতিতে বিচলিত হয় না।
১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোর তিনজন প্রতিনিধি আনোয়ারার বদলপুরায় যান। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ঘাটে নেমে দেখা যায়, বাঁ পাশে বিশাল এলাকাজুড়ে কাজ চলছে। এটাই আবদুর রশিদের কর্ণফুলী ড্রাই ডক। ড্রাই ডক তৈরির স্থানে পাথরের বিশাল স্তূপ, বহু শ্রমিক নানা ধরনের কাজ করছেন, অনেকগুলো ট্রাক মালামাল আনা-নেওয়া করছে।
মেরিন একাডেমির ঘাটের ডান পাশে চরে বিশাল ফাঁকা জায়গা পড়ে আছে। এখানে প্যারাবন ছিল, যা বদলপুরা ফরেস্ট নামে পরিচিত। কয়েক মাস আগে গাছ কাটা হয়েছে। গাছের গুঁড়ি পড়ে আছে। বন কেটে এই জায়গায় কনটেইনার ডিপো তৈরির কাজ শুরু করেছেন আবদুর রশিদ।
ড্রাই ডকের এলাকাটি দেয়ালঘেরা। প্রধান ফটকের ওপরে লেখা: কর্ণফুলী ড্রাই ডক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল লিমিটেড। তার নিচে লেখা, সংরক্ষিত এলাকা।
ড্রাই ডকের দেয়ালের পশ্চিম পাশ দিয়ে সরু একটি রাস্তা চলে গেছে। রাস্তার পাশে পুরোনো বসতি, বদলপুরা গ্রাম। এই গ্রামের পাঁচজন বাসিন্দা ও একজন চা–বিক্রেতার সঙ্গে প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের কথা হয়। তাঁদের প্রত্যেকের বয়স ৫০ বছরের বেশি। তাঁরা বলেছেন, ছয়-সাত বছর আগেও জোয়ারের পানি রাস্তা পর্যন্ত আসত। ড্রাই ডকের মধ্যে গ্রামের কিছু মানুষের জমি আছে, যা তাঁরা বিক্রি করেছেন।
কর্মসূত্রে ৩০ বছর ধরে ওই এলাকায় আছেন, এমন একজন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গেও কথা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি প্রথম আলোকে বলেছেন, সব সময় কর্ণফুলীতে পানির প্রবাহ দেখেছেন। কিন্তু নদী দখল করে স্থাপনা তৈরির কারণে এখন জোয়ারের পানি আর তীরে পৌঁছায় না।
পূর্ণ জোয়ারে পানি যে পর্যন্ত ওপরে ওঠে এবং শেষ ভাটায় পানি নেমে যে জায়গায় পৌঁছায়, পানির এই দুই স্তরের মধ্যবর্তী স্থান নদীবিজ্ঞানে ফোরশোর নামে পরিচিত। নদীর দুই তীরের ফোরশোর নদীর মতোই গুরুত্বপূর্ণ। এটা নদীরই অংশ। তাই ফোরশোরে স্থাপনা তৈরি করা অবৈধ বলে জানিয়েছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের দেওয়া স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা যায়, ২০০১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কর্ণফুলী ড্রাই ডকের স্থানে নদী ও ফোরশোর ছিল। ২০০১ সালের ছবি বলছে, ড্রাই ডকের এলাকায় নদী ও ফোরশোর ছিল। ২০০৯ সালের ছবিতেও তা দেখা যায়। ২০১৩ সালের ছবিতে পরিবর্তন চোখে পড়ে। তাতে দেখা যায়, এলাকায় ভরাট করে কিছু স্থাপনা তৈরি হয়েছে। ২০২৩ সালের ছবিতে দেখা যায়, নদীর অনেক ভেতরে ড্রাই ডকের অবস্থান।
শুধু স্যাটেলাইটের ছবি নয়, নথি সূত্রেও কর্ণফুলী দখলের বিষয়টি স্পষ্ট করেছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। কমিশন বলছে, হাইকোর্টের রায়ে বলা আছে সিএস রেকর্ডে (ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে নকশা) যে স্থানকে নদী বলা আছে, তাই নদী। নদী ও নদীর জায়গায় যা গড়ে উঠবে, তা অবৈধ। সিএস নকশা অনুযায়ী দেখা যায়, বদলপুরা মৌজার নদীর জমিতে কর্ণফুলী ড্রাই ডক তৈরি হচ্ছে।
আনোয়ারা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসি ল্যান্ডের কার্যালয় থেকে ২০১৯ সালে নদীর অবৈধ দখলদারের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, তাতেও অবৈধ স্থাপনা হিসেবে কর্ণফুলী ড্রাই ডকের নাম ছিল।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইনের কথা বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্ণফুলী নদী কাউকে দিয়ে দিতে পারে না। অন্যদিকে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যায়, তারা দখলদারের পক্ষ নিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উচিত ছিল নদীর পক্ষে দাঁড়ানো।সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গত বছরের ৭–৯ নভেম্বরে সরেজমিন ঘুরে কর্ণফুলীর পরিস্থিতি দেখে। ৯ নভেম্বর জেলা নদী রক্ষা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ‘আনোয়ারা উপজেলার বদলপুরা মৌজা (জেএল নম্বর-২৯) এবং সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত কর্ণফুলী ড্রাই ডক লিমিটেড ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রায় সকল স্থাপনা নদীর জমি ও ফোরশোর ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে বিধায় এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’ এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার কথা ছিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, কর্ণফুলী ড্রাই ডক কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সূত্র থেকে পাওয়া কাগজপত্রে দেখা যায়, এ বছর ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বদলপুরা মৌজার কর্ণফুলী জমির ব্যাপারে মতামত চেয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত জানতে চায়। ৪ মার্চ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় তাদের সিদ্ধান্ত জানায়।
ওই সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, বন্দরসীমার মধ্যে কোনো ভূমি বা চর সৃষ্টি হলে অন্য কোনো আইনে যা-ই থাকুক না কেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন (২০২২) অনুযায়ী ওই জমি ও চরের মালিক বন্দর কর্তৃপক্ষ। আইন অনুযায়ী বন্দর কর্তৃপক্ষ যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ডক, পিয়ার (বড় স্তম্ভ), নোঙর বা অন্য কোনো স্থাপনা নির্মাণের জন্য অনুমতি দিতে পারে। এতে বলা হয়েছে, ‘বন্দর সীমানার মধ্যে যাবতীয় কার্যাবলির ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারাধীন বিধায় এ বিষয়ে অন্যান্য সংস্থার অযাচিত হস্তক্ষেপ আইনানুগ নয়।’
ড্রাই ডকের জন্য ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ঋণ দিয়েছে ৮০০ কোটি টাকা। ড্রাই ডকের দৈর্ঘ্য ৩০৫ মিটার, গভীরতা ১৬ মিটার। ২৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ এখানে ঢুকতে পারবে।কর্ণফুলী ড্রাই ডকের মালিক আবদুর রশিদ
পরে ৫-৬ মার্চ অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম নদী রক্ষা কমিটির সভায় নদীর জায়গায় কর্ণফুলী ড্রাই ডকের স্থাপনা তৈরির প্রসঙ্গটি ওঠে। বৈঠকে কর্ণফুলী ড্রাই ডকের বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অবস্থানের বিষয়টি আলোচনা হয়। তখন বৈঠকে এ বিষয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বৈঠকের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন। আর বদলপুরা মৌজার বিষয়ে তিনি বলেন, ওই এলাকায় জেলা প্রশাসনের কোনো জমি আছে কি না, তা কাগজপত্র দেখে বলতে হবে।
কর্ণফুলী ড্রাই ডকের বিষয়ে জানতে গতকাল চেষ্টা করেও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
নদী রক্ষার বিষয়ে অনেক দিন ধরে আইনি লড়াই করে আসছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইনের কথা বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্ণফুলী নদী কাউকে দিয়ে দিতে পারে না। অন্যদিকে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যায়, তারা দখলদারের পক্ষ নিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উচিত ছিল নদীর পক্ষে দাঁড়ানো।
কর্ণফুলী ড্রাই ডকের মালিক আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ড্রাই ডকের জন্য ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ঋণ দিয়েছে ৮০০ কোটি টাকা। ড্রাই ডকের দৈর্ঘ্য ৩০৫ মিটার, গভীরতা ১৬ মিটার। ২৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ এখানে ঢুকতে পারবে।
কর্ণফুলী ড্রাই ডক কার্যত চট্টগ্রাম বন্দর এলাকার মধ্যে আরও একটি পূর্ণাঙ্গ বন্দর। সমুদ্রগামী জাহাজ এখানে ভিড়তে পারবে, থাকবে জেটি, বড় বড় কনটেইনার রাখার ব্যবস্থা থাকবে। এটি চালু হলে এই জায়গায় জাহাজের ভিড় থাকবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসক সম্মিলিতভাবে অবৈধ দখলদারের পক্ষ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই, সাধারণভাবেই বোঝা যায় যে এই ড্রাই ডক নদী ও ফোরশোরে গড়ে উঠেছে। আমরা সব ধরনের রেকর্ডপত্র, নকশা পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা করে দেখেছি এই ড্রাই ডক সম্পূর্ণ অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে, যা দেশের প্রচলিত আইন ও মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের পরিপন্থী।’