সাত বিভাগের দুয়েক জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস

দেশের বিভিন্ন স্থানে এখন যে বৃষ্টি হচ্ছে, এর কারণ পশ্চিমা লঘুচাপ। বজ্রমেঘের এ বৃষ্টির চরিত্র বোঝা মুশকিল। সাধারণত এটি দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে আসা জলীয় বাষ্পের কারণে ঘটে। কখনো কখনো তা আসে উত্তর-পূর্বের মেঘালয় থেকে। বৃষ্টি হয় বিচ্ছিন্ন এলাকায়।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে বৃষ্টিও হয়েছে বিচ্ছিন্নভাবে। আজ রোববার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে, দেশের সাত বিভাগের দুয়েক জায়গায় সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। রাজধানী ঢাকাতেও বিকেলের দিকে সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে। এর পরিমাণ ছিল ২২ মিলিমিটার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে—১৮ মিলিমিটার। এ ছাড়া ফরিদপুরে ৮ ও মাদারীপুরে ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। আর ঢাকায় বৃষ্টি হয় ২ মিলিমিটার।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের দু-একটি স্থানে সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে রংপুর বিভাগ অপেক্ষাকৃত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, সাত বিভাগের দুই বিভাগে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। প্রাক্‌-মৌসুমি বায়ুর এ সময়ে বৃষ্টির ধরনই এমন। স্থানীয়ভাবে মেঘ সৃষ্টি হয়ে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হয়। আর এ বৃষ্টির সময়টা হয় সংক্ষিপ্ত। গতকালও রাজধানীর সব প্রান্তে বৃষ্টি হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশেও বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর চলতি মাসের শুরুতে বলেছিল, এ মাস অপেক্ষাকৃত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে দু-একটি বড় আকারের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। মার্চে দেশের গড় বৃষ্টি হয় ৫২ দশমিক ৪ মিলিমিটার। আর এ সময় গড় তাপমাত্রা থাকবে ৩১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টি ও তাপমাত্রা আসলে কত হলো, তা মাস শেষেই বলতে পারবে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ ও কাল বৃষ্টির পরিমাণ কম হলেও মঙ্গলবার থেকে তিন দিন বেশি পরিমাণ বৃষ্টি হতে পারে। এর সঙ্গে থাকতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।