বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’–এ পরিণত হয়েছে। এটি বারবার গতিপথ পরিবর্তন করছে। ঘূর্ণিঝড়টি সোমবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে যেকোনো সময় বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত করতে পারে। ফলে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলো উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সমুদ্রবন্দরগুলো ও কক্সবাজারকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আজ রোববার রাত নয়টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূল থেকে ৭০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে অবস্থান করছিল। শুরুতে এটি বরিশালের দিকে এগোতে থাকলেও ঘূর্ণিঝড়টি রাত নয়টার দিকে খুলনা–বাগেরহাটের দিকে এগোতে থাকে। এটি আগামীকাল সোমবারের মধ্যে আবারও বরিশাল ও নোয়াখালীর দিকে মুখ করে এগোতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, তবে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত করার সময় দুর্বল না শক্তিশালী থাকবে, তা আজকের মধ্যে বোঝা যাবে। আগামীকাল সোমবার অমাবস্যা। এ সময়ে সমুদ্রে জোয়ারে পানির উচ্চতা এমনিতেই বেশি থাকবে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ও ঝোড়ো বাতাস। ফলে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলো উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির গতিমুখ বারবার দিক পরিবর্তন করছে। এটি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত করার আশঙ্কা বেশি। ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত করার সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি একটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।