ঘূর্ণিঝড়
ঘূর্ণিঝড়

সাগরে আবার লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে

নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকে রাজধানীর আকাশও মেঘলা। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ও আগামীকালও বিচ্ছিন্নভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। তবে এর রেশ যেতে না যেতেই আগামী মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে। সেই লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা আছে। তবে সেটি বাংলাদেশের উপকূলেই আঘাত হানবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘ডানা’।

চলতি অক্টোবর মাসের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে গত বুধবার থেকেই সাগরে একটি লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হয়। এর প্রভাব বেশি পড়ে ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলে। তবে এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ে। গতকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়। আজ বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বেশি।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে বরিশালে, ৫৩ মিলিমিটার। রাজধানীতে এ সময় ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।

আগামীকালও শনিবারও দেশের কিছু স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে রোববার থেকে বৃষ্টি অনেকটাই কমে যাবে। মঙ্গলবার থেকে বঙ্গোপসাগের একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে আজ শুক্রবার সকালে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক। তিনি বলেন, এই লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপ এমনকি ঘূর্ণিঝড়ও হতে পারে।

সাগরে ঘূর্ণিঝড় হলে এর লক্ষ্যস্থল কি বাংলাদেশের উপকূল? এর জবাবে ওমর ফারুক বলেন, এখনো এটি নিশ্চিত নয়। এখন পর্যন্ত এর যে গতিপ্রকৃতি, তাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বা ওডিশার দিকেই এটি আঘাত হানতে পারে। তবে নিশ্চিত করে এখনই বলা যায় না। বাংলাদেশের উপকূলে আসার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

এবারের সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডানা’। এটি কাতারের দেওয়া নাম বলে জানান ওমর ফারুক।

আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও )। ডব্লিউএমও সে জন্য পাঁচটি বিশেষ আঞ্চলিক আবহাওয়া সংস্থার (আরএসএমসি) সঙ্গে সমন্বয় করে ২০০৪ সাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করে। আরএসএমসি তার সদস্যদেশগুলোর কাছ থেকে নামের তালিকা চেয়ে থাকে। তালিকা পেলে দীর্ঘ সময় যাচাই-বাছাই করে সংক্ষিপ্ত তালিকা করে ডব্লিউএমওর কাছে পাঠায়।

বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা অনুমোদন করে আঞ্চলিক কমিটির একটি প্যানেল। তার নাম ডব্লিউএমও/এসকাপ প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোনস। এর মধ্যে আছে ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, ইয়েমেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।