পবিত্র ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে গত বুধবার থেকে। গতকাল শনিবার ছিল ঈদ। রাজধানীতে মানুষ কমে গেছে, সড়কে নেই যানবাহনের ভিড়। আর এর মধ্যে আজ রোববার বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান হয়েছে ২১তম। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) আজ বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার স্কোর ৭৬। একে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য বলে ধরা হয়; যদিও ছুটির শুরুর পর গত শুক্রবারও বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল পঞ্চম। আর সেদিন সকালে একিউআই স্কোর ছিল ১৫৪।
আজ একিউআই ইনডেক্সে সবার ওপরে থাকা নেপালের কাঠমান্ডু, স্কোর ১৬০। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের, স্কোর ১৫৫। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে যথাক্রমে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ও কাতারের দোহা। শহর দুটির স্কোর যথাক্রমে ১৩৩ ও ১২৯।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।
একিউআই ইনডেক্সে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। আর স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ হলে সেই বাতাসকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়, যা ওই শহরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে, একিউআই ইনডেক্সে ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে স্কোর থাকলে সেই বাতাসকে ‘মধ্যম’ কিংবা ‘গ্রহণযোগ্য’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ঢাকায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। জানুয়ারিতে মোট ৯ দিন রাজধানীর বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর মধ্যে জানুয়ারিতে বায়ুর মান থাকে সবচেয়ে বেশি খারাপ। ঢাকার জন্য বায়ুদূষণ বড় একটি সমস্যা। এ জন্য মোটাদাগে তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়। সেগুলো হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের ধুলা। পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে এই তিন কারণের কথা বলা হয়েছে।
নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি—বছরের এই চার মাস ঢাকার বায়ু বেশি দূষিত থাকে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে বায়ুর মান থাকে সবচেয়ে বেশি খারাপ।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো বস্তুকণা (পিএম ১০ ও পিএম ২.৫), এনও ২, সিও, এসও ২ এবং ওজোন (ও৩)।