জেঁকে বসেছে শীত। দেশের বিভিন্ন এলাকায় কুয়াশার কারণে রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শনিবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে উত্তরের জেলা নওগাঁয়, ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর তিন ঘণ্টা পর সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমেছে। এ সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে দিনাজপুরে, ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, সকাল ৯টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে, ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাস জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দেয় আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, দেশের চার জেলা—কিশোরগঞ্জ, পাবনা, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) বইছে। তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রাও কমছে। দিনের তাপমাত্রা ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে। এই ধারাবাহিকতায় আজ নওগাঁয় সবচেয়ে কম ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।
বজলুর রশিদ আরও বলেন, পুরো রংপুর বিভাগ, রাজশাহী বিভাগের কিছু অংশ এবং যশোর, চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের ওপর মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে। আগামী দুই থেকে তিন দিন এটি থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও বলেছে, আজও সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকবে। ফলে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে। আগামী দুই থেকে তিন দিন শীতের অনুভূতি বেশি থাকতে পারে।
এমন তীব্র শীত কবে নাগাদ কমতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে বজলুর রশিদ বলেন, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এরপর আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে।