টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় চট্টগ্রাম নগরের নিম্নাঞ্চলে। আজ বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম নগরের একে খান ইস্পাহানি সি গেট এলাকায়
টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় চট্টগ্রাম নগরের নিম্নাঞ্চলে। আজ বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম নগরের একে খান ইস্পাহানি সি গেট এলাকায়

৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা

ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে টানা ভারী বর্ষণে নগরের সড়ক ও অলিগলি হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়ে নগরবাসী।

আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। এর মধ্যে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মাত্র ৩ ঘণ্টায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল বুধবারও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ সকালের ভারী বর্ষণে নগরের বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়। দুপুরে বৃষ্টি থামলেও পানি নামেনি।

সকালের বৃষ্টিতে নগরের হালিশহর, সিডিএ আগ্রাবাদ আবাসিক এলাকা, মুরাদপুর, চকবাজার, ডিসি রোড, বহদ্দারহাট, একে খান ইস্পাহানি সি গেট এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

বৃষ্টির ফলে সৃষ্টি হওয়া জলাবদ্ধতায় সকালে কর্মস্থলগামী চাকরিজীবীরা দুর্ভোগে পড়েন। জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আবার সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকদের ধর্মঘটের কারণে নগরে অটোরিকশার পরিমাণও কম ছিল। এতে মানুষের ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্তব্যরত আবহাওয়াবিদ ইসমাইল ভূঁইয়া বলেন, পাঁচ–ছয় দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। আগেও পাহাড়ধসের সতর্কতা জারি ছিল। আজ আবার নতুন করে ৪৮ ঘণ্টার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মূলত আজ ৯টার পর থেকে বৃষ্টি বেড়েছে। বৃষ্টি আগামীকাল পর্যন্ত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।