‘ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস ২০২০’ প্রকাশিত

পানি-স্যানিটেশন-স্বাস্থ্যবিধিতে পরিবারপিছু ব্যয় সাড়ে ১১ হাজার টাকা

‘ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস ২০২০’ প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান
ছবি: ওয়াটার এইডের সৌজন্যে

পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) খাতের সামগ্রিক ব্যয়ের চিত্র তুলে ধরতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস ২০২০’ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আজ রোববার পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠান হয়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তৈরি ‘ট্র্যাকফিন’ গাইডলাইন অনুসরণ করে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস’ তৈরি হলো।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি ৬ অর্জনে সবার জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ী সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের প্রাপ্যতা ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) খাতে অগ্রগতি অর্জনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

‘ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস’-এর আজ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘২০২০-এ, ওয়াশ-খাতের ব্যয় মোট জিডিপির ২ দশমিক ১৮ শতাংশ। বাংলাদেশে খানাপ্রতি ওয়াশ বাবদ গড় বার্ষিক খরচ ১১ হাজার ৫৭৪ টাকা। এর মধ্যে পানি বাবদ ১ হাজার ৫০২ টাকা, স্যানিটেশন বাবদ ১ হাজার ৯৮৫ টাকা এবং স্বাস্থ্যবিধি বাবদ ৮ হাজার ৮৭ টাকা  খরচ হয়, যা তাদের বার্ষিক খানার আয়ের ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। আয়ের পরিমাণ অনুসারে খানার ওয়াশ ব্যয়ের বিভাজন থেকে দেখা যায় যে শহর ও গ্রাম সবখানেই দরিদ্র এবং দরিদ্রতম আয়ের পরিবারগুলো তাদের আয়ের বড় অংশ ওয়াশ-এ ব্যয় করে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা হিসেবে নিয়মিত বিভিন্ন জরিপ পরিচালনা করে থাকে।

অনুষ্ঠানে ওয়াটারএইড-এর দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক পরিচালক খায়রুল ইসলাম বলেন,  ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস-এ খানাভিত্তিক ব্যক্তিগত ব্যয় নিরূপণের জন্য খানার ওয়াশ ব্যয় জরিপ পরিচালনা করে প্রাথমিক তথ্য নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানভিত্তিক জরিপও পরিচালনা করা হয়েছে। প্রাথমিক উপাত্তের সঙ্গে সেকেন্ডারি উপাত্ত সমন্বয় করে সমন্বিত ‘ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্টস সরকার, সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন সহযোগী, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলোর একটি সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সহজতর হবে।