দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ চলছে আজ সোমবারও। এর মধ্যে দেশের দুই জেলায় চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। আজ সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের তিন বিভাগের দুয়েক জায়গায় আজ সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু বাকি অংশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে তীব্র গরম পড়তে শুরু করেছে, এখনো তা চলছে। গতকাল রোববার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, তাপপ্রবাহ আরও পাঁচ থেকে ছয় দিন চলতে পারে। আর এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় বাড়তে পারে গরমের অনুভূতি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ জানিয়েছে, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশসহ ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও বান্দরবান জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন আজ প্রথম আলোকে বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে যে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা কমার কোনো লক্ষণ নেই খুব তাড়াতাড়ি।
তীব্র এ গরমের মধ্যে দেশের দুয়েক জায়গায় গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে। তবে তাতে তাপ খুব একটা কমেনি। উদাহরণ হিসেবে ফেনীর চিত্র তুলে ধরেন মনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ফেনীতে দেশের সর্বোচ্চ ১২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। তারপরও সেখানে তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাই বৃষ্টি হলেও তাপ কমছে না। কারণ, যে পরিমাণ বৃষ্টি হলে তাপ কমবে, তা হচ্ছে না।
তাপমাত্রা যদি ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তাহলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয় যখন তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। আর অতি তীব্র হয় ৪২ ডিগ্রি বা তার বেশি হলে।
সবশেষ আবহাওয়ার বার্তা অনুযায়ী, দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে, ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীতে তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গরমের মধ্যেও দেশের কিছু স্থানে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই অনুযায়ী আজ ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু–এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।