হাঁটুপানির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন পথচারীরা
হাঁটুপানির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন পথচারীরা

আগামীকাল বৃষ্টি বাড়তে পারে

অবশেষে খরতাপ আর মেঘের লড়াই শেষ হয়েছে। মেঘের ওপর মেঘ জমে শ্রাবণের মাঝামাঝি এই সময়টায় বৃষ্টির দাপট বেড়েছে। রাজধানীতে আজ বৃহস্পতিবার দিনভর টানা বৃষ্টি ছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আগামীকাল শুক্রবারও সারা দেশে বৃষ্টি বাড়বে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় তীব্র বৃষ্টি হবে।

শক্তিশালী মৌসুমি বায়ুর কারণে বঙ্গোপসাগরে সঞ্চারণশীল মেঘমালা তৈরি হয়েছে। উপকূলজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। যা টানা কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। দেশের উপকূল থেকে শুরু করে মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর ও উত্তর–পূর্বাঞ্চলজুড়ে সঞ্চারণশীল মেঘ ও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে দেশের বেশির ভাগ নদীবন্দরকে ২ নম্বর স্থানীয় নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কায় চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, মৌসুমি বায়ু শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। মাসজুড়ে মৌসুমি বায়ুর দাপট থাকতে পারে। বৃষ্টিপাত শুক্রবার বেড়ে শনিবার থেকে কিছুটা কমতে পারে। তবে আগামী সাত-আট দিন ওই বৃষ্টি চলতে পারে। থেমে থেমে এই বৃষ্টি এই মাসের বেশির ভাগ সময় ধরে চলতে পারে।

আজ কুতুবদিয়াসহ দেশের উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বৃষ্টিপাত ২০০ মিলিমিটার ছাড়িয়ে গেছে। উপকূলীয় জেলাগুলোর বৃষ্টি ১০০ মিলিমিটার ছাড়িয়ে গেছে। রাজধানীর মোট বৃষ্টি ছিল ৩২ মিলিমিটার।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আজ দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কুতুবদিয়ায় ২০৫ মিলিমিটার। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।