হালদায় দ্বিতীয় দফায় ২০০ কেজি ডিম সংগ্রহ

হালদায় ডিম সংগ্রহ করছেন সংগ্রহকারীরা। গত শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের। ছবি: সংগৃহীত
হালদায় ডিম সংগ্রহ করছেন সংগ্রহকারীরা। গত শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের।  ছবি: সংগৃহীত

দেশের একমাত্র কার্পজাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতে দ্বিতীয় দফায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ। শুক্রবার গভীর রাতে নদীর চার স্থানে মা মাছ ডিম ছাড়ে।

মৎস্য অধিদপ্তরের ভাষ্য, ১৫০ থেকে ২০০ কেজি ডিম ধরা পড়ে সংগ্রহকারীদের জালে। সংগ্রহকারীদের হিসাবটাও এ রকম।

নদীগবেষকেরা জানান, দ্বিতীয় দফায় এত ডিম ছাড়ার ঘটনা নদীর পরিবেশের জন্য ইতিবাচক। নদীর পরিবেশ আগের চেয়ে ভালো হওয়ার কারণে এই পরিবর্তন। দীর্ঘদিন দ্বিতীয় দফায় এত পরিমাণ ডিম সংগ্রহের এমন রেকর্ড ছিল না।

হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাজমুল হুদা গতকাল শনিবার জানান, হাটহাজারী ও রাউজান সীমান্তের চার স্থান আজিমেরঘাট, বাড়িঘোনা, আমতুয়া, ফাঁড়ির মুখ এলাকায় ভাটার সময় ১৫০ থেকে ২০০ কেজি ডিম সংগ্রহ করতে পেরেছেন সংগ্রহকারীরা। ডিমগুলো হাটহাজারীর মদুনাঘাট ও মাদার্শা এলাকার দুটি হ্যাচারিতে নিয়ে আসেন তাঁরা।

এর আগে গত ২২ মে প্রথম দফায় এ নদী থেকে ২৮০টি নৌকায় ৫১৬ জন সংগ্রহকারী ২৫ হাজার ৫৩৬ কেজি ডিম সংগ্রহ করেন।

>

নদীগবেষকদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন দ্বিতীয় দফায় এত পরিমাণ ডিম সংগ্রহের রেকর্ড ছিল না।

হাটহাজারীর প্রবীণ ডিম সংগ্রহকারী কামাল সওদাগর বলেন, ২২ থেকে ২৫টি নৌকা নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাতে ডিম ছাড়ার খবর পেয়ে নদীতে নামেন সংগ্রহকারীরা। এর মধ্যে সাত থেকে আট নৌকার মালিক ডিম ধরতে পেরেছেন।

হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া জানান, শুক্রবার রাতে তিনি নদীতে ছিলেন। নদীর পরিবেশ আগের চেয়ে ভালো হওয়ার কারণে দ্বিতীয় দফায় ডিম ছাড়ে মা মাছ। এ রকম পরিবেশ থাকলে হালদার হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসবে।

রাউজানের ইউএনও জোনায়েদ কবির ও হাটহাজারীর ইউএনও রুহুল আমিন জানান, তাঁরা রোজ নদীতে অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছেন। হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।