নীলফামারীর সৈয়দপুরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও র্যাবের অভিযানে চার হাজার কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় এসব পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাত করার দায়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের চাঁদনগর এলাকায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর জেলা কার্যালয়ের কাছে গোপন মাধ্যমে সংবাদ আসে, সৈয়দপুর শহরের চাঁদনগর এলাকার পলিথিন ব্যবসায়ী আসলামের ছেলে তারিক ইকবাল তাঁর বসতবাড়িতে গোপনে কারখানা স্থাপন করে বিভিন্ন নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন করছেন। তাঁর উৎপাদিত পলিব্যাগ, পলি প্রপাইল (পিপি) ব্যাগ শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক রোডের মদিনা মোড়ের দোকান থেকে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন বাজারসহ দেশের অনেক স্থানেই বাজারজাত হচ্ছে।
এ তথ্যের ভিত্তিতে পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক কাজী সাইফুদ্দিনের নেতৃত্বে র্যাব-১৩, নীলফামারী সিপিসি-২-এর সহকারী পুলিশ সুপার ইমরান খানের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রমিজ আলম।
অভিযানকালে চাঁদনগরে আসলামের বাড়ির ভেতরে পলিথিন উৎপাদন কারখানায় পলিথিন উৎপাদনের প্রধান উপকরণ দানাদার পাউডার ১ হাজার ৭৫ কেজি, নিষিদ্ধ পলিথিন (রোলসহ) ২ হাজার ৫০০ কেজি ও পলিব্যাগ ৪২৫ কেজি জব্দ করা হয়। এ সময় কারখানার মালিক আসলামের ছেলে তারিক ইকবালকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রমিজ আলম ১৯৯৫ সালের পরিবেশ আইন মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ সময় তাৎক্ষণিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করে রেহাই পান নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনকারী।
পরে সন্ধ্যা ছয়টায় অভিযান সম্পর্কে সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে ব্রিফিং করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রমিজ আলম। তিনি বলেন, পরিবেশের জন্য চরম ক্ষতিকারক নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বিপণনের দায়ে তারিক ইকবালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে পলিথিন উৎপাদন ও বিক্রি করলে কঠোর আইনের আওতায় আনা হবে।