সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার কাশতাল এলাকায় অবস্থিত লাল শাপলার বিকি বিলকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ আজ শনিবার সকালে ওই বিল পরিদর্শনে যান। এরপর ‘পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য নতুন এলাকা’ হিসেবে সেখানে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন।
বিকি বিলে এখন তাকালে মনে হবে লাল গালিচা বিছানো। জলের দেখা মিলবে পরে। যে দিকে চোখ যায়, শুধু লাল শাপলা। যেন লাল শাপলার মেলা বিলজুড়ে। পাহাড়ের কাছে হাওরের এমন সৌন্দর্য স্থানীয়দের তো বটেই, মুগ্ধ করছে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকজনকেও।
তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজার থেকে কাশতাল গ্রামের পাশে গেলেই চোখে পড়ে এই বিল। বাদাঘাট বাজার থেকে দূরত্ব এক কিলোমিটারের মতো হবে। সড়কের বাঁ পাশে বিকি বিল। ডানে তাকালে চোখে পড়বে মেঘালয় পাহাড়। পাহাড়ের ওপরে মেঘের খেলা। হাওর-পাহাড়ের সৌন্দর্য এখন এখানে মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে। বিলে শাপলার ফাঁকে ফাঁকে ছোট নৌকায় করে ঘুরছেন লোকজন। কোমর সমান জলে নেমে শালুক তুলছে আশপাশের গ্রামে নারী ও শিশুরা। এই সময় এগুলো বিক্রি করে কিছু বাড়তি আয় করেন তাঁরা।
স্থানীয় বাদাঘাট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, তাহিরপুর এমনিতেই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য খুব আকর্ষণীয় স্থান। এখানে টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক (নীলাদ্রি), শিমুল বাগান, বারিক টিলা ও জাদুকাটা নদের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন পর্যটকেরা আসেন। কিন্তু এই এলাকাতে বিকি বিলজুড়ে লাল শাপলার এমন সৌন্দর্য ছড়িয়ে আছে, এত দিন এটি অনেকের নজরে আসেনি। এখন মানুষ জেনে দেখতে আসছেন। তিনি জানান, আগস্ট থেকে নভেম্বর—এই চার মাস মূলত লাল শাপলা থাকে। লাল শাপলার সৌন্দর্য দেখতে হলে সকালে আসতে হবে।
বিকি বিলকে পর্যটন এলাকা ঘোষণার সময় তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির হাসান, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তার জাহান ও আসিফ আল জিনাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।