ঘূর্ণিঝড় আম্পান উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় অনেকক্ষণ ধরেই তাণ্ডব চালিয়েছে। তাই এ জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে জেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড়ে সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় এক নারী গাছের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন।
জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেছেন ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জেলার যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই এখনো জেলার ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ চিত্র পাওয়া যায়নি। তবে এখন পর্যন্ত চার উপজেলায় বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তীব্র বাতাস, ভারী বৃষ্টিপাত ও উঁচু জলোচ্ছ্বাস নিয়ে উপকূলজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। সাতক্ষীরা থেকে পটুয়াখালী উপকূল পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব ছিল সবচেয়ে বেশি। গতকাল বুধবার রাত নয়টায় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রটি ঘণ্টায় ১৫১ কিলোমিটার গতিবেগে সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত করে। এ সময় ১২ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস ছিল।
জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘নেটওয়ার্কের সমস্যায় ভুগছি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) যোগাযোগ করতে পারছেন না। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার দিকে কোনো কোনো ইউএনওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছি। বাকিদের লোক পাঠিয়ে সংবাদ দিয়েছি। তারা মাঠে যাচ্ছে, চেয়ারম্যানদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করছে।’
জেলা প্রশাসক বলেন, শ্যামনগর, আশাশুনি, কালীগঞ্জ এবং সদর উপজেলায় ক্ষতি বেশি হয়েছে। এসব জায়গার কমবেশি ২০ টি বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙেছে অনেক। প্লাবিত হয়েছে চিংড়ি ঘের। মূলত চিংড়ি ঘের এবং আমের ক্ষতি বেশি হয়েছে। যেসব এলাকা ফাঁকা সেসব জায়গায় বেশি ভেঙেছে। আর ঘনবসতি এলাকায় গাছ পড়ে ঘরবাড়ি ভেঙেছে ।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন মো. হুসাইন শাফায়ত প্রথম আলোকে বলেন, সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় কামাল নগর এলাকায় এক নারী মারা গেছেন। তবে তিনি গাছের নিচে চাপা পড়ে না দেয়াল চাপা পড়ে মারা গেছেন তা নিশ্চিত নন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়নি। তবে জেলার চার উপজেলায় প্রাণহানির কোনো খবর বেলা সাড়ে ১টা পর্যন্ত তিনি পাননি।