এই সময়ে চা-বাগানে চা-পাতাগুলোর রং সবুজ থাকার কথা থাকলেও লাল মাকড়সার আক্রমণে অনেক বাগানে পাতাগুলো রং হারিয়েছে। গাঢ় সবুজ চা-বাগান লাল ও কালচে হয়ে উঠেছে।
তবে চা-বাগান কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, তাদের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে বাগানের চা-গাছগুলো লাল মাকড়সার আক্রমণ থেকে এখন প্রায় সুরক্ষিত।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া, খাইছড়া চা-বাগানসহ কয়েকটি চা-বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, সবুজ পাতার মধ্যে কিছু কিছু পাতা কালো রং ধারণ করেছে। কোনো কোনো সেকশনের (সুনির্দিষ্ট এলাকা) চা-পাতাগুলো কালো হয়ে আছে।
ফিনলে টি ভাড়াউড়া ডিভিশনের উপ-আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক গোলাম মোহাম্মদ শিবলী প্রথম আলোকে গতকাল বুধবার মুঠোফোনে বলেন, ‘চা-বাগানে রেড স্পাইডার আক্রমণ করেছিল। আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে এ সময় বাগানগুলোতে এবার রেড স্পাইডার আক্রমণ করে। আমরা উন্নত মানের কীটনাশক ব্যবহার করে তা নিয়ন্ত্রণে এনেছি।’
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিটিআরআই) পরিচালক মোহাম্মদ আলী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, লাল মাকড়সার আক্রমণ মূলত রোদের সঙ্গে সম্পর্কিত। চা-বাগানে তাপমাত্রা বাড়লে, জলাবদ্ধতা থাকলে ও বৃষ্টিপাত কম হলে এই আক্রমণ দেখা দেয়। এখন বৃষ্টি হওয়ায় লাল মাকড়সার আক্রমণ অনেকটাই কমে গেছে। রেড স্পাইডার বা লাল মাকড়সা চা-পাতাগুলোর ‘ক্লোরোফিল’ বা রস খেয়ে ফেলে। এর প্রাদুর্ভাব দূর করতে হলে চা-বাগানের সেকশনগুলোতে ছায়াদানকারী বৃক্ষ বেশি করে লাগাতে হবে। আক্রান্ত গাছে ওষুধের পাশাপাশি ছায়ার ব্যবস্থা করতে হবে।