তেঁতুলিয়ায় এ বছরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড। আজ তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
দেশে শৈত্যপ্রবাহ আবারও দুর্বল হতে শুরু করেছে। জড়ো হওয়া মেঘের কারণে শীতের বাতাসের গতি কমে গেছে। এ ছাড়া উষ্ণ মেঘের দাপটে শীতও কমতে শুরু করেছে। গতকাল সোমবার দেশের ১১টি জেলা এবং রংপুর বিভাগে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে শৈত্যপ্রবাহের এলাকা কমে আসতে পারে।
তবে গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার এই তাপমাত্রা ছিল চলতি শীত মৌসুমে সারা দেশে রেকর্ড করা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ ছাড়া রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বেশির ভাগ জেলার তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ছিল। রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রাও ছিল শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি পর্যায়ে, ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আগামী দুই–তিন দিনে শৈত্যপ্রবাহের দাপট ধীরে ধীরে কমে আসবে। আকাশে মেঘ বেড়ে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হতে পারে।
এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে দেশের আকাশে আবারও মেঘ জমতে শুরু করেছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে মেঘের পরিমাণ বেড়ে কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ওই বৃষ্টি দুই–তিন দিন চলার পর তাপমাত্রা কমে আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।
পঞ্চগড়ে চার দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ
প্রতিনিধি, পঞ্চগড় জানান, টানা চার দিন ধরে পঞ্চগড়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। তবে গতকাল সকালে কুয়াশার পরিমাণ কমে রোদের দেখা মেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়াও গত শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে।
চলতি মাসের গোড়ার দিক থেকে উত্তরের জেলাগুলোয় একাধিকবার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হলেও শুক্রবার থেকে প্রথমবারের মতো এই এলাকায় বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে বাড়তে থাকে উত্তরের হিমশীতল বাতাস। রাতভর ঝিরঝিরে হিমেল বাতাসে কাবু হয়ে পড়ে এই জনপদের মানুষ।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ প্রথম আলোকে বলেন, আকাশে মেঘ ও কুয়াশার পরিমাণ কমে যাওয়ায় উত্তরের ভারী শীতল বাতাস তাপমাত্রা কমিয়েছে। তবে আকাশ পরিষ্কার থাকায় সকাল সকাল রোদের দেখা মিলেছে। এতে কিছুটা হলেও মানুষ স্বস্তি পাচ্ছে। এই মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এখন ধীরে ধীরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রূপ নেবে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে এই এলাকা থেকে শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাবে।