দেশের সর্বনিম্ন¤তাপমাত্রা বিরাজ করছে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটে। শনিবার ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বেড়ে গেলেও তীব্র ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধসহ শ্রমজীবী মানুষ।
পৌষের শুরু থেকেই রংপুর বিভাগের অনেক জেলায় তাপমাত্রা কমে গিয়ে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। উত্তরের হিমেল বাতাসের সঙ্গে রাতভর ঝরতে থাকা কুয়াশা থাকছে সকাল পর্যন্ত। প্রতিদিন সকালের মধ্যেই সূর্যের মুখ দেখা গেলেও অনেক এলাকায় সারা দিনই কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া দপ্তরের পর্যবেক্ষক মোফাকখারুল ইসলাম জানান, শনিবার হঠাৎ করে তাপমাত্রা নিচে নেমে যায়, যা দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। এই অবস্থা আরও দু-এক দিন বিরাজ করতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও তীব্র শৈত্য প্রবাহসহ মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। রাজশাহী, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, রাঙামাটি, কুমিল্লা, ফেনী, শ্রীমঙ্গল অঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।