মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বিলুপ্তপ্রায় বন্য প্রাণী শজারু হত্যার দায়ে দুজনকে কারাদণ্ড এবং হত্যায় সহযোগিতার দায়ে সাতজনকে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে মাধবকুণ্ড ইকোপার্কের বাজারিছড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত এ সাজা দেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামীম আল ইমরান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক এলাকায় বিলুপ্তপ্রায় একটি শজারু হত্যার ঘটনা জানাজানি হয়। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেন বন বিভাগের লোকজন। খবর পেয়ে ইউএনও ঘটনাস্থলে যান। সেখানে আটক ব্যক্তিরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে শজারু হত্যার কথা স্বীকার করেন। এরপর আদালত শজারু হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকায় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন-২০১২ অনুযায়ী উপজেলার বিওসি কেছরিগুল এলাকার সুবল ভূমিজ (২৫) ও জগ রবিচন্দ্রকে (২৫) এক মাসের বিনা শ্রম কারাদণ্ড দেন।
আর শজারু হত্যায় সহায়তা করার অপরাধে উকিল সাঁওতাল (৩৫), বুধু সাঁওতাল (২৬), উমেশ সাঁওতাল (৩০), রমেশ সাঁওতাল (৩২), কার্তিক সাঁওতাল (৩৫), রাম সাঁওতাল (৩০) ও কৃষ্ণ সাঁওতালকে (৩৫) ১০ হাজার টাকা করে মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে গতকাল রাতেই জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস ও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হজরত আলী সহায়তা করেন।
শেখর রঞ্জন দাস আজ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, আটকের পর তাঁদের কাছে একটাই শজারু পাওয়া গেছে। পরে ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাঁদের সাজা দিয়েছেন।
অপর দিকে উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের বিওসি কেছরিগুল এলাকায় টিলা কাটার অপরাধে ফখরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামীম আল ইমরান বলেন, ‘টিলা ও বন্য প্রাণী আমাদের প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এগুলো রক্ষায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।’