সকালের মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিতে আজ রোববার তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকা। হাঁটু থেকে বুকসমান পানি উঠেছে বিভিন্ন স্থানে। বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে বেড়েছে আতঙ্ক। বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
চট্টগ্রামের আমবাগান আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, সকাল ৮টা থেকে চট্টগ্রাম নগর ও আশপাশ এলাকায় বৃষ্টি ও বজ্র বৃষ্টি শুরু হয়। ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এক ঘণ্টায় মোট ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
আমবাগান আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, মূলত সকাল ৮টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। এক ঘণ্টায় প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। এখনো বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুর ১২টায় আবার পরিমাপ করা হবে বৃষ্টি। ততক্ষণে তা ৮০ মিলিমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঝারি মাত্রার এই বৃষ্টিপাতে নগরের ষোলশহর, কাপাসগোলা, চাক্তাই, বাকলিয়া, ডিসি রোড, রহমতগঞ্জ, হালিশহর, চান্দগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। ডিসি রোডে হাঁটুসমান পানি ওঠে। নগরের রহমতগঞ্জে পানি ওঠে কোমরসমান। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।
ডিসি রোডের বাসিন্দা সাহেদ মুরাদ প্রথম আলোকে বলেন, ডিসি রোড ও বাসার আঙিনায় এক হাঁটু পানি উঠেছে। বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানিও বাড়ছে। নালা ও খালে প্রতিবন্ধকতা থাকায় এই পানি উঠেছে বলে তিনি মনে করেন।
মৌসুমি বায়ুর অগ্রভাগের প্রভাবে চট্টগ্রামে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে আবহাওয়াবিদেরা জানান। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের কর্তব্যরত আবহাওয়াবিদ শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মৌসুমি বায়ু মিয়ানমার ও টেকনাফ অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। তার অগ্রভাগের কারণে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী এক-দুদিন আরও বৃষ্টি হবে।