এপ্রিল থেকে জুলাই—চলতি বছরের টানা চারটি মাসই ছিল বৃষ্টিমুখর। এর আগে মার্চ-এপ্রিল মাসজুড়ে প্রায় প্রতিদিন ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহের ওপর দিয়ে যায় কালবৈশাখী। কিন্তু মধ্য ভাদ্রে আকাশে সাদা মেঘ; বৃষ্টি যেন কোথায় হারিয়ে গেল! ভাদ্রের বিদায়ের পর আশ্বিন মাসে সাদা মেঘও নেই। উল্টো ভ্যাপসা গরম। আর দুদিন ধরে এই গরম রূপ নিয়েছে দাবদাহে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, আপাতত দুদিনের মধ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য, গতকাল মঙ্গলবার থেকে আজ বুধবার রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ এর মাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজ ছিল ভোলায় ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ, বরিশালের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগসহ ঢাকা, সীতাকুণ্ড, মাইজদী কোর্ট ও ফেনী অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সেটি কোথাও কোথাও কমতে পারে। এ ছাড়া দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে সারা দেশের অন্য অঞ্চলে প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে এ দেশে গরম পড়েছে। এই লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে ভারতের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু লঘুচাপে মেঘমালা সৃষ্টি হলেও সেগুলো বাংলাদেশের দিকে আসছে না। মেঘ না আসায় কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিও হচ্ছে না। বৃষ্টি হীনতার কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ রাশেদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকাসহ মধ্যাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টি কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশালের উপকূলীয় এলাকার কিছু কিছু জায়গায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে দাবদাহ বয়ে যেতে পারে। এই অবস্থা আরও দুই-একদিন থাকতে পারে।