মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গতকাল শনিবার সারা দিন চট্টগ্রামে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ধসের আশঙ্কা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করায় সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৮৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের কর্তব্যরত আবহাওয়াবিদ মেঘনাদ তঞ্চংগ্যা বলেন, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আগামীকাল (আজ) সকাল ১০টা পর্যন্ত বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এর ফলে চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে।
জানতে চাইলে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদ পরিচালনাকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি দেখে পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসতিতে মাইকিং করা হচ্ছে। তাদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের এ জন্য কাজে লাগানো হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রও খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে তারা নিজেদের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে চলে যাচ্ছে।
এদিকে গতকাল সারাদিন টিপটিপ বৃষ্টি পড়লেও নগরের কোথাও কোথাও ফুটপাত নির্মাণে ত্রুটির কারণে সড়কে পানি জমতে দেখা গেছে। নগরের নন্দনকানন, এনায়েত বাজার, মোমিন রোড, প্রবর্তক মোড়ে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়ক ডুবে গেছে। নন্দনকাননের বৌদ্ধমন্দির সড়কের পানি নালায় যাওয়ার কোনো পথ নেই।