ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর আঘাতে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ৩৮ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুতের সরবরাহ নেই। এতে পাথরঘাটা পৌর এলাকায় দুদিন ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে জরুরি সেবাসহ মুঠোফোনের নেটওয়ার্কও বারবার বিঘ্নিত হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে চিকিৎসাসেবাও বন্ধ।
জানতে চাইলে পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাথরঘাটা অভিযোগকেন্দ্রের জুনিয়র প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে পাথরঘাটা উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। এ তার পুনঃসংযোগ দিতে প্রায় সাত দিন সময় লাগবে। তবে জরুরি ভিত্তিতে আজ সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে পাথরঘাটা পৌর এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
পাথরঘাটা উপজেলার সাত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাথরঘাটা সদর, কালমেঘা, কাকচিড়া, চরদুয়ানী, নাচনাপাড়া, কাঁঠালতলী ও রায়হানপুর ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। এতে আজ সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩৮ ঘণ্টা ধরে এলাকাগুলো বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে জরুরি প্রয়োজনে মুঠোফোন চার্জ দিতে না পারায় দুর্যোগে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না। ইজিবাইকের চালকেরা তাঁদের রিকশার ব্যাটারি চার্জ দিতে পারছেন না। এতে রিকশা চলাচলও খুবই কম।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে গ্রামের প্রতিটি বাড়িরই একাধিক গাছ ভেঙে গেছে বা উপড়ে পড়েছে। এতে সড়কের পাশ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের লাইনের ওপর গাছ পড়ায় তার ছিঁড়ে গিয়ে এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
পাথরঘাটা পৌর পানি সরবরাহ শাখার ব্যবস্থাপক সোহেল আহম্মেদ বলেন, পাথরঘাটা পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে পানির গ্রাহক ১ হাজার ৯০০। বিদ্যুতের অভাবে দুদিন ধরে তাঁদের পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এতে ওই গ্রাহকেরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
পাথরঘাটা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, বিদ্যুতের সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় মুঠোফোনের নেটওয়ার্কও বারবার বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে দূরের ও প্রবাসী স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না অনেকেই। একই সঙ্গে ইন্টারনেট সেবাও ব্যাহত হচ্ছে।