টাঙ্গাইলের মধুপুরে গতকাল শুক্রবার কালবৈশাখীতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গোপালপুরে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে তিনটি গ্রামের কয়েক শ ঘরবাড়ি। এ ছাড়া টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা উপড়ে পড়েছে। গাছ চাপা পড়ে আহত একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যায় মধুপুর পৌর এলাকার মালাউরি গ্রামের রূপচান মিয়ার বসতঘরের দেয়াল ঝড়ে ধসে পড়ে। এতে রূপচান মিয়ার স্ত্রী দিলরুবা (৩৬) এবং দুই ছেলে রাকিব (১১) ও সাকিব (৯) আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত রাকিব ও সাকিবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেওয়ার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাকিবের মৃত্যু হয়। দিলরুবাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যার ঝড়ে টাঙ্গাইল শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় একটি কাঠবাদামগাছ উপড়ে পড়ে। গাছের নিচে চাপা পড়ে শান্ত চৌহান (১১) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। তার মাথা থেঁতলে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
একই সময় কালবৈশাখীতে লন্ডভন্ড হয়েছে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের তিন গ্রাম। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঝড়ে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝড়ে গাছ ভেঙে ঘর ও রাস্তার ওপর পড়ে রয়েছে। ইউনিয়নের কুইরাবাড়ি, বালবাড়ি ও ভোলারপাড়ার কয়েক শ বাড়িঘর ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। বালবাড়ি গ্রামের উপার আলী জানান, সন্ধ্যায় হঠাৎ করে কালবৈশাখী শুরু হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর তিনটি টিনের ঘর ভেঙে যায়।
একই এলাকার রেজাউল করিম জানান, ঝড়ে তাঁর ঘর ভেঙে হয়ে যায়। মা রাজিয়া বেগম ঘরে থাকায় আহত হন। তাঁকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিকাশ বিশ্বাস জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।