চিম্বুক পাহাড়ে হোটেল নির্মাণ বন্ধের দাবি

চিম্বুক পাহাড়ে হোটেল নির্মাণ বন্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন
চিম্বুক পাহাড়ে হোটেল নির্মাণ বন্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন

পার্বত্য চট্টগ্রামের বন উজাড় ও চিম্বুক পাহাড়ের ম্রো পাড়া উচ্ছেদ করে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন পর্যটকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাঁরা বলেছেন, পাঁচ তারকা হোটেল নয়, চাই প্রকৃতির সৌন্দর্য। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন ভ্রমণপ্রিয় মানুষেরা। ‘সচেতন প্রকৃতি ও পাহাড়প্রেমী জনগণ’ ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বাইকার্স ক্লাব, মুসাফির বাইকার্স ক্লাব, বাইকিং রাইডার্সসহ বিভিন্ন পর্যটনভিত্তিক ফেসবুক গ্রুপের সদস্যরা অংশ নেন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা তরুণ ও যুবকেরাও এতে অংশ নেন। কর্মসূচির সময় তাঁদের হাতে নিজেদের দাবির পক্ষে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ছিল। এ ছাড়া মানববন্ধনের ব্যানারে তাঁদের চার দফা দাবির কথা লেখা ছিল। দাবিগুলো হলো পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের উৎখাত বন্ধ ও তাদের সংস্কৃতি রক্ষা, চিম্বুক পাহাড়ে সরকারি স্কুল ও হাসপাতাল নির্মাণ, বন উজাড় বন্ধ করা এবং পাড়া উচ্ছেদের পর্যটন না করে ‘কমিউনিটি বেইজড ইকো-ট্যুরিজমকে’ উন্নত করা।

সজীব ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘ক্লান্তির পর একটু স্বস্তির আশায় আমরা পাহাড়ে ভ্রমণে যাই। সেখানে আমরা যাই প্রকৃতি দেখতে। প্রকৃতি যদি কংক্রিটের শহরের মতো হয়ে যায়, তাহলে আমাদের যাওয়ার আর কোনো জায়গা থাকবে না। তাই প্রকৃতির ভারসাম্য ঠিক রাখতে হবে।’

অন্তত ১৫ জন ব্যক্তি মানববন্ধনে বক্তব্য দেন। তাঁরা বলেন, চিম্বুক পাহাড়ে হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনাটি অনৈতিক। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে উচ্ছেদ করে পর্যটন আমরা চাই না। হোটেলের চেয়ে হাসপাতাল ও স্কুল সেখানে বেশি দরকার। পাঁচ তারকা হোটেল উন্নয়নের স্মারক হতে পারে না। প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হয়—এমন সব কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে, প্রকৃতির নিজস্ব সত্তা অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।

শাওন মাজহার নামের এক ব্যবসায়ী এই মানববন্ধনের উদ্যোক্তা। শাওন প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার জায়গা থেকে আমরা বন উজাড় ও চিম্বুক পাহাড়ে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণের বিরোধিতা করছি। সেই জায়গা থেকে এ নিয়ে একটি মানববন্ধন আয়োজনের ব্যাপারে আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইভেন্ট খুলি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই মানববন্ধন।’