যুক্তরাজ্য ও জাপান নিজের দেশে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করলেও বাংলাদেশে তারা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে অর্থ দিচ্ছে। বিদ্যমান পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩৩ হাজার ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কয়লা থেকে উৎপাদন করা হবে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র বছরে ১১ কোটি ৫০ লাখ মেট্রিক টন কার্বন ডাই–অক্সাইড নির্গত করবে। এটি সত্যিকারে কার্বন বিস্ফোরণের মতো ঘটনা, যা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির মুখে থাকা বাংলাদেশকে চরম ক্ষতির মুখে ফেলবে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মার্কেট ফোর্সেস ও থ্রি ফিফটির ‘কয়লায় শ্বাসরুদ্ধ: কার্বন বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এবং ওয়াটার কিপারসের কর্মকর্তারা।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে সরে এসে সরকারকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার ওপর জোর দিতে হবে।
বাপার সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মতিন বলেন, এক রামপাল হলেই সুন্দরবনের প্রভূত ক্ষতি হবে। সেখানে দেশে আরও ২৮টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে গোটা দেশের পরিবেশ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে।
ওয়াটার কিপারস বাংলাদেশের সমন্বয়কারী ও বাপার যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামিল ‘কয়লায় শ্বাসরুদ্ধ: কার্বন বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ব্রতীর নির্বাহী পরিচালক শারমিন মোরশেদ ও শাহজান সিদ্দিকী।