কনকনে শীতের অনুভূতি আজও থাকতে পারে

কনকনে ঠান্ডায় ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে কাজের উদ্দেশ্যে শহরে প্রবেশ করছেন অনেকে। গতকাল সকালে রংপুর নগরের বুড়িরহাট সড়কে। মঈনুল ইসলাম
কনকনে ঠান্ডায় ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে কাজের উদ্দেশ্যে শহরে প্রবেশ করছেন অনেকে। গতকাল সকালে রংপুর নগরের বুড়িরহাট সড়কে।  মঈনুল ইসলাম

দেশের বেশির ভাগ এলাকা থেকে কুয়াশা ও মেঘ সরেনি। এতে সূর্যের আলো ভালোমতো ভূমিতে পৌঁছাতে না। এ কারণে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য তেমন কমেনি। এর ফলে কনকনে শীতের অনুভূতি রয়ে গেছে।

কুয়াশার পাশাপাশি আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে উত্তরাঞ্চলের জনপদগুলোতে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বেশ কয়েকটি স্থানে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ আরও নতুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে।

গতকাল রোববার রাজধানীর দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য ছিল ৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে কী সকাল, কী দুপুর, সব সময়ই প্রায় একই ধরনের শীতের অনুভূতি ছিল। রাজধানীর বেশির ভাগ স্থানে যানবাহন ও মানুষের চলাফেরা ছিল কম। জরুরি প্রয়োজনে যাঁরা বাইরে বের হয়েছেন, তাঁদের ঠান্ডা বাতাস ও কুয়াশার কবলে পড়তে হয়। এই আবহাওয়ায় শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি কষ্টে পড়েছেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কুয়াশা ছিল। ফলে সূর্যের আলো দেখা যায়নি। যে কারণে শীতের অনুভূতি বেশি ছিল। আজ সোমবারও একই ধরনের আবহাওয়া থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।