আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অশনি দুর্বল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অন্ধ্র প্রদেশে আঘাত করতে পারে। এরপর এটি রাজ্যটির বিশাখাপট্টনম উপকূলে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। অশনির বাংলাদেশের দিকে আসার সম্ভাবনা কম। তবে এর প্রভাবে আগামী দুই দিনও বৃষ্টি হতে পারে।
আজ বিকেল পাঁচটায় বিশাখাপট্টনম উপকূল থেকে ঘূর্ণিঝড়টি প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। আর ঘণ্টায় প্রায় ১৫ কিলোমিটার গতিতে এগোচ্ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় অশনি ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার গতি নিয়ে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে আঘাত করতে পারে। এর প্রভাবে ভারতের অন্ধ্র, ওডিশা, পশ্চিমবঙ্গসহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বৃষ্টি হতে পারে। বাংলাদেশ ও ভারতে ওই বৃষ্টি ১৪ মে পর্যন্ত চলতে পারে। আগামীকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বাড়তে পারে। বিশেষ করে সিলেট, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় অশনি বাংলাদেশের দিকে আসার সম্ভাবনা কম। এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে আঘাত করতে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে, ১১৯ মিলিমিটার। ঢাকায় আজ সারা দিনে ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দেশের বেশির ভাগ এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিকেল পাঁচটায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি চলছিল। বৃষ্টির কারণে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বড় শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং কক্সবাজার উপকূলকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সাগরের মাছ ধরার নৌকা ও নদ-নদীর নৌযানগুলোকে সাবধানে চলাচল করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।