সমন্বয়হীনতায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি মারাত্মক হয়েছে: টিআইবি

ডেঙ্গু ওয়ার্ডের কোনো শয্যা খালি নেই। মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা, কার্যকর পরিকল্পনা ও পূর্বপ্রস্তুতির ঘাটতির কারণে রাজধানীসহ প্রায় সারা দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি বলেছে, বড় বড় সিটি করপোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহির অভাব, অনিয়ম, দুর্নীতি ও বিক্ষিপ্তভাবে অকার্যকর কার্যক্রম গ্রহণ করার ফলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ১৫ দফা সুপারিশ তুলে ধরেছে সংস্থাটি। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ‘ঢাকা শহরে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি। সেই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ১৫ দফার এই সুপারিশ তৈরি করা হয়েছে। সেই সুপারিশ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আবারও পাঠিয়ে এর ভিত্তিতে কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

টিআইবি বলছে, শুধু রাজধানীই নয়, সারা দেশেই ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে। বাড়ছে প্রাণহানি। তাই এটিকে জরুরি জনস্বাস্থ্যসংকট ঘোষণা দিয়ে জাতীয় পর্যায় থেকে সমন্বিতভাবে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘(ডেঙ্গু) পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে, এ–জাতীয় সতর্কবার্তা ছিল। তা সত্ত্বেও রাজধানীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ হতাশাজনক। যেটুকু উদ্যোগ দেখা গেছে, তা পরিস্থিতি বিবেচনায় অপ্রতুল কিংবা লোকদেখানো প্রচারণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

মশা নিয়ন্ত্রণে মুনাফাভিত্তিক কীটনাশকনির্ভরতার ঊর্ধ্বে গিয়ে অন্য সব পদ্ধতির ব্যবহার নিশ্চিত করে দুই সিটি করপোরেশনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন ইফতেখারুজ্জামান।

সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পরামর্শক প্যানেল গঠন করে তাঁদের পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।