স্বজনের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছেড়েছেন অনেকেই। জীবিকার তাগিদে তাঁদের আবার ঢাকায় ফিরতে হবে। আগামীকাল শনিবার শুরু হবে ট্রেনের ফিরতি যাত্রা। ছুটি শেষে আগামী সোমবার অফিস-আদালত খুলবে। তাই রোববার ঢাকায় ফেরা মানুষের সংখ্যা বাড়বে।
গত বুধবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে। আজ ঈদের ছুটি শেষ হচ্ছে। তবে আগামীকাল ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। তার পরদিন রোববার আবার পয়লা বৈশাখের ছুটি। তাই অফিস-আদালত খুলতে খুলতে সোমবার। ঈদের আগে ৭ এপ্রিল ছিল পবিত্র শবে কদরের ছুটি। এর আগের দুই দিন ৫ ও ৬ এপ্রিল ছিল শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে অনেকেই মাঝের দুই দিন ৮ ও ৯ তারিখ ছুটি নিয়ে টানা ১০ দিনের ছুটি কাটাচ্ছেন।
এই দীর্ঘ ছুটিতে এখন রাজধানীজুড়ে চলছে ঈদের আমেজ। প্রধান সড়কসহ অলিগলিও বেশ ফাঁকা। চিরচেনা সেই যানজট নেই। অবশ্য চিড়িয়াখানাসহ বিনোদনকেন্দ্রে মানুষের ভিড় আছে। বিকেলে হাতিরঝিল, চন্দ্রিমা উদ্যানের মতো গণপরিসরে লোকজন পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাচ্ছেন।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীর কল্যাণপুর, শ্যামলী, আসাদগেট, শেওড়াপাড়া, মিরপুর-১০, ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রধান সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি ও গণপরিবহন একেবারেই কম। ফাঁকা ঢাকার প্রধান সড়কেও রিকশা চলছে। তবে গন্তব্যে যেতে যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
ঈদযাত্রায় রেলের ফিরতি যাত্রা শুরু হবে আগামীকাল। চলবে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত। ফলে কাল থেকেই রাজধানীবাসীর অনেকে ঢাকায় ফিরতে শুরু করবেন।
তবে ঈদের ছুটির পর ঢাকার স্বরূপে ফিরতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। ঢাকার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে ২১ এপ্রিল। এর আগের সপ্তাহে অফিস-আদালত চললেও ঢাকায় পুরোপুরি প্রাণচাঞ্চল্য ফিরতে কিছুটা সময় লাগবে। ফলে যানজটের ঢাকায় কিছুটা স্বস্তিতে ঘোরাঘুরি করতে অনেকেই এই সময়টা বেছে নিচ্ছেন।
পরিবহনবিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামানের ২০২৩ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ঈদের আগের চার দিনে ঢাকা ছাড়েন ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ।