কক্সবাজারের রামুতে ৭০ হাজার ইয়াবাসহ বিজিবির হাতে গ্রেপ্তার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা আমজাদ হোসাইন। আজ দুপুরে তোলা
কক্সবাজারের রামুতে ৭০ হাজার ইয়াবাসহ বিজিবির হাতে গ্রেপ্তার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা আমজাদ হোসাইন। আজ দুপুরে তোলা

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ৭০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের রামুতে ৭০ হাজার ইয়াবা নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা। তাঁর নাম মো. আমজাদ হোসাইন। তিনি টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী উপপরিদর্শক। গতকাল শনিবার রাতে টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে কক্সবাজার যাওয়ার পথে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের রামুর মরিচ্যা বিজিবি চেকপোস্টে ধরা পড়েন তিনি। এ সময় তাঁর পকেট থেকে ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, টেকনাফে চাকরিরত থাকা অবস্থায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ীর সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে বিপুল টাকা আয় করেছেন। মাঝেমধ্যে মাদক কারবারিদের ইয়াবার চালান তিনি নিজে বহন করে গন্তব্যে পৌঁছে দিতেন। আজ রোববার সকালে আমজাদ হোসাইনকে রামু থানায় হস্তান্তর করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব যাঁদের, তাঁদেরই একজন ইয়াবার চালান নিয়ে ধরা পড়ার ঘটনায় অধিদপ্তরের কার্যক্রমও প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

৭০ হাজার ইয়াবাসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেন রামু ৩০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, শনিবার রাতে মরিচ্যা বিজিবি যৌথ চেকপোস্টের সদস্যরা টেকনাফ থেকে আসা ইম্পেরিয়াল পরিবহনের একটি বাস তল্লাশির সময় আমজাদকে সন্দেহ হয়। এরপর তাঁকে বাস থেকে নামিয়ে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর কথার গরমিল পাওয়া গেলে সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করা হয়। এ সময় ওই ব্যাগে ৭০ হাজার ইয়াবা ও নগদ ৫০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। আজ সকালে ইয়াবাসহ আমজাদকে রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু তাহের দেওয়ান বলেন, বিজিবির কাছ থেকে এজাহার পেয়ে আমজাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আমজাদ টেকনাফ থেকে তাঁর গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন। ইয়াবা পাচারের সঙ্গে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা আছে কি না জানতে আমজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ইয়াবাসহ আমজাদকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন। ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হয়েছে। আমজাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে।