দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর, পতেঙ্গা, ইপিজেড) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এম এ লতিফ লিখিত জবাব দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সদস্য তৃতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ বেগম আঞ্জুমান আরার আদালতে তাঁদের পক্ষে লিখিত জবাব দেন আইনজীবী কফিল উদ্দিন।
কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, এম এ লতিফ কোনো নির্বাচনী সভা করেননি। তাঁর নিজস্ব আঙিনায় কর্মিসভা করেছেন। আর মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাঁর নেতা। নেতা হিসেবে তিনি এম এ লতিফের কর্মীদের নিয়ে আয়োজন করা বৈঠকে গিয়েছেন। এ ছাড়া ইসির সার্কুলারে লেখা আছে, যতক্ষণ পর্যন্ত বাছাইপূর্বক চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা হবে না, ততক্ষণ কেউ প্রার্থী হিসেবে গণ্য হবেন না। তারপরও যদি অনুসন্ধান কমিটি মনে করে এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে, তার জন্য দুজনই সরি বলেছেন। নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি লিখিত জবাব গ্রহণ করে তাঁদের কর্মকাণ্ড নিয়ে কেউ যাতে প্রশ্ন তুলতে না পারে, সে জন্য সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী কফিল উদ্দিন।
আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে এম এ লতিফ ও রেজাউল করিম চৌধুরীকে গত সোমবার নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান ও তৃতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ বেগম আঞ্জুমান আরা আলাদাভাবে চিঠি দিয়ে কারণ ব্যাখ্যা চান।
আদালত সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-১১ আসনের এক ভোটার এই আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধানের কাছে মেয়র ও সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এম এ লতিফের আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে একটি অভিযোগ দেন।
সৈয়দ আনোয়ারুল করিম নামের ওই ভোটারের দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-১১ আসনের আওতাধীন মুন্সিপাড়া উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উন্মুক্ত স্থানে এম এ লতিফের পক্ষে ভোট চান এবং নির্বাচনী প্রচারণা চালান। ‘এম এ লতিফের পক্ষে মতবিনিময় সভায় মেয়র’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন চট্টগ্রামের স্থানীয় দৈনিকগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে।