গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) যৌথ উদ্যোগে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের জন্য ফিজিক্যাল থেরাপি ও পুনর্বাসন চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় বিপিএর পক্ষ থেকে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এক লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিপিএ সভাপতি দলিলুর রহমান বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদের পরিবারের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশন এবং গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের সহযোগিতায় গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে আজ থেকেই রোগী ভর্তি করা হবে। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ১৫টি শয্যা আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এখানে আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসা এবং থেরাপি নিতে পারবেন।’
গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের পরিচালক সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্মই হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। আন্দোলন চলাকালে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে এবং আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদকে চিকিৎসা দেওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের চাপের সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমাদের বেসরকারি এই হাসপাতালে নানা সীমাবদ্ধ থাকা সত্ত্বেও আমরা ২৪-এর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যদি সামান্য কিছুও করতে পারি তাহলে কৃতজ্ঞ থাকব।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিপিএ সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তানভীর রহমান, গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের অধ্যাপক আকরাম হোসেন, বিপিএর সহসভাপতি ইশরাত জাহান, ল্যাবএইড হাসপাতালের অধ্যাপক উম্মে সালমা, যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর সাইকোলজিক্যাল কনসালটেন্ট নাজমুল হোসাইন।
অনুষ্ঠানে আন্দোলনে গুরুতর আহত বেশ কিছু রোগীও উপস্থিত ছিলেন। আহত ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন সাইফ মো. ইমদাদ, নেসার উদ্দিন, মোবারক প্রমুখ ।